ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

বিশ্বব্যাপী মানবতাকে গুরুত্ব দিলেই দুর্ভিক্ষ এড়ানো সম্ভব

মফিজুল সাদিক | ওয়াশিংটন ডিসি (যুক্তরাষ্ট্র) থেকে | প্রকাশিত: ০৮:২৭ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০২২

চলমান অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণে বাংলাদেশের পাশে থাকবে বিশ্বব্যাংক গ্রুপ। এবারের বার্ষিক সম্মেলনে সংস্থাটি মন্দার হুঁশিয়ারি দিয়ে আহ্বান জানিয়েছে সতর্ক হওয়ার। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস মনে করেন, বিশ্বব্যাপী মানবতাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিলেই দুর্ভিক্ষ এড়ানো সম্ভব। সব দেশকে উদার হতে হবে। নিত্যপণ্যের সরবরাহ সহজীকরণ করে দেশগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।

রোববার (১৬ অক্টোবর) ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত সংস্থাটির বার্ষিক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে আয়োজিত বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক সম্মেলন জুড়েই আলোচনার বিষয় ছিল বিশ্ব মন্দা ও খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা। বিশ্ব মন্দা আর দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে সহযোগী দেশগুলোর জন্য ১৭০ বিলিয়ন ডলারের তহবিল গঠন করেছে বিশ্বব্যাংক। এর মধ্যে ৩০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হবে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে। বিশ্বব্যাংকের প্রধান মনে করেন, আসছে বছরের সংকট এড়াতে চাইলে সবাইকে মানবিক হতে হবে।

ডেভিড ম্যালপাস বলেন, এখন শুধু নিজের কথা ভাবলেই চলবে না। আগামী দিনের ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে না চাইলে সবাইকে মানবিক হতে হবে। আমি বিশ্বজুড়ে ১৩০টি স্থানে কর্মরত আমার সহকর্মীদের ধন্যবাদ জানাই। বিশ্ব সংকট মোকাবিলায় আমরা একসঙ্গে কাজ করবো। বর্তমানে বৈশ্বিক সংকট নিরসনে কাজ করছে বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল। ইউরোপ থেকে শুরু করে উন্নয়নশীল দেশগুলোও বিপাকে পড়েছে। পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে অসহায় হয়েছে দরিদ্র মানুষ।

jagonews24ফাইল ছবি

ওয়াশিংটন ডিসির বার্ষিক সভায় বাংলাদেশও ছিল আলোচনার অংশ। করোনার পর থেকে বিভিন্ন প্রকল্পে বাংলাদেশকে ১৭০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট জানান, চলমান সংকট উত্তরণে সামনের দিনগুলোতে বিশ্বব্যাংককে পাশে পাবে বাংলাদেশ।

সংস্থাটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্সি টেম্বন বলেন, করোনার আঘাত কাটিয়ে ওঠার আগেই আমাদের সামনে এখন খাদ্য সংকট, অর্থনৈতিক সংকট, জ্বালানি সংকটসহ নানা সমস্যা এসে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বব্যাংক এমন একটি সংস্থা যার কাজই হলো সংকটে পাশে থাকা। বিশ্বব্যাংক সে চেষ্টাই করছে। বাংলাদেশও এর থেকে সুবিধা পাবে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টিনা জর্জিয়েভা বলেন, বর্তমানে বিশ্বে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে যা আমাদের কল্পনারও বাইরে ছিল। করোনা পরবর্তীসময়ে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন বিশ্বব্যাপী একটা টালমাটাল অবস্থা তৈরি করেছে। যার নেতিবাচক প্রভাব সব ক্ষেত্রে। কোভিডের সংকট থেকে উত্তরণ না হতে খাদ্য, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি বিশ্ববাসীকে বিপাকে ফেলে। মানুষকে গরিব থেকে আরও গরিব করেছে। নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি বিশ্ববাসীকে হতভম্ব করেছে। এই অবস্থা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে থমকে দিয়েছে।

১৮৮ দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে বিশ্ব অর্থনীতির সংকট ও সমাধানের নানা বিষয় আলোচনার মাধ্যমে শেষ হলো সাতদিনের বৈশ্বিক সম্মেলন।

এমওএস/আরএডি/জিকেএস