ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

ভোক্তা অধিদপ্তরের নামে ভুয়া সংগঠন, সতর্ক থাকার পরামর্শ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:০১ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নামের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ বেশকিছু অবৈধ সংগঠন তৈরি করে প্রতারণা করা হচ্ছে। এসব সংগঠন থেকে মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে এরই মধ্যে ব্যবসায়ীদের হয়রানি করার ঘটনাও ঘটেছে। এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

সতর্কীকরণ গণবিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি বলেছে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর আওতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর গঠন হয়েছে। যা আইন ব্যস্তবায়নে কাজ করছে। এ কাজে জেলা প্রশাসনও ভোক্তা অধিদপ্তরের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে কাজ করছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ‘ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯’ বাস্তবায়নের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ।

তবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নামের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ ‘বাংলাদেশ ক্রেতা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ফাউন্ডেশন’, ‘বাংলাদেশ ভোক্তা অধিকার কমিশন’ নাম ব্যবহার করে ভুয়া সংগঠন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। এ ধরনের অবৈধ সংগঠন থেকে মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের শুনানিতে উপস্থিত হওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হচ্ছে এবং বিভিন্ন উপায়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে অবৈধ অর্থ দাবি করা হচ্ছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ।

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ভোক্তা এবং ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণে যেকোনো ধরনের অপতৎপরতা রোধে বদ্ধপরিকর। এ ধরনের অবৈধ সংগঠন/প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো চিঠি কিংবা টেলিফোনে সাড়া না দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা যাচ্ছে।

একই সঙ্গে অসৎ কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে বিভ্রান্ত না হয়ে আইনি সহায়তা নেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হলো। প্রয়োজনে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়/বিভাগীয় কার্যালয়/জেলা কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

এনএইচ/জেএস/জেআইএম