দুদিনে ডজনে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ টাকা
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর হু হু করে বাড়তে থাকে ডিমের দাম। সরকারের নানা উদ্যোগে দাম আবার কমেও আসে। তবে খুচরা বাজারে ডিমের দাম ফের ঊর্ধ্বমুখী। কয়েকদিনের ব্যবধানে প্রতি ডজন ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। বর্তমানে রাজধানীতে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। দুদিন আগেও যা ছিল ১২০ টাকা।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উত্তর বাড্ডা, মধ্য বাড্ডা, হাতিরঝিল সংলগ্ন গুদারাঘাটসহ বাড্ডা এলাকার বিভিন্ন খুচরা ও পাইকারি দোকান ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।
বাড্ডার হোসেন মার্কেটের পেছনে আনিশা স্টোর। খুচরা দামে ডিম বিক্রি হয় ওই দোকানে। দোকানের মালিকের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, দুদিন আগে প্রতি ডজন বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকায়। এরপর দুদিন ধরে তিনি ১৩০ টাকা ডজন বিক্রি করছেন।
আনিশা স্টোরের ঠিক পাশেই মুজাদ্দেদি হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট। কথা হলে ওই রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার জাগো নিউজকে জানান, তিনি ১০০ পিস পাইকারি দামে ডিম কেনেন সাড়ে ৯০০ টাকায়। সেই হিসাবে খুচরা দামের তুলনায় কিছুটা কম পড়ে।
বাড্ডা এলাকায় আরেক মুদি দোকান মামুন জেনারেল স্টোরে গিয়ে ডিমের দাম জানতে চাইলে প্রতি ডজন চান ১৩০ টাকা।
উত্তর বাড্ডা বাজারে ডিমের পাইকারি বিক্রেতা মো. সুমন মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, পাইকারি নিলে প্রতি ডজন পড়বে ১২০ টাকা করে। আমরা ১২০ টাকা করে বিক্রি করি। খুচরা কত বিক্রি করে সেটা তাদের ব্যাপার।
একই এলাকার আব্দুল্লাহ স্টোরে পাইকারি ও খুচরা দরে ডিম বিক্রি হয়। দোকান মালিকের ছেলে আনিসুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, প্রতি ১০০ পিস ডিম আমরা এক হাজার টাকায় কিনেছি। কেউ ১০০ পিস নিলে আমরা ২০ থেকে ৩০ টাকা লাভে ছেড়ে দেই। আর ডজন হিসেবে নিলে ১২৫-১৩০ টাকায় বিক্রি করি।
তিনি বলেন, দুদিন আগে ১০০ পিস ডিম ৯৫০ টাকা করেও বিক্রি করেছি। এখন হাজারের ওপরে।
ডিমের দাম বাড়ানো বা কমানোর ক্ষেত্রে তাদের কোনো হাত নেই দাবি করে আনিসুর বলেন, দাম বাড়ে গোড়া (বড় ব্যবসায়ী) থেকে। তবে দাম বাড়লেও ডিমের চাহিদা আছে বলেও জানান তিনি।
এমআইএস/কেএসআর/জিকেএস