সূচকের বড় পতন, কমেছে লেনদেন
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিলেও শেষ পর্যন্ত মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহের দুই কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন হলো।
মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাত কার্যদিবস পর দেড় হাজার কোটি টাকার কম লেনদেন হয়েছে।
সূচক ও লেনদেন কমার পাশাপাশি ডিএসই ও অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে।
এর আগে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবস ও তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস মূল্যসূচক বাড়ে। এতে টানা ছয় কার্যদিবসের উত্থানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ছয় হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়ে যায়।
এ পরিস্থিতিতে চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ডিএসইতে এবং সিএসইতে লেনদেন শুরু হয় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পতন দিয়ে দিনের লেনদেন শুরু হয়।
আগের কার্যদিবসের মতো সোমবারও লেনদেনের শুরুতে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে। কিন্তু লেনদেনের মাঝামাঝি সময়ে বিক্রির চাপ বেড়ে যাওয়ায় সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শেষ পর্যন্ত থাকেনি।
শুরুতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ায় লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও সাড়ে ১১টার পর থেকে সূচক টানা নিচের দিকে নামে। ফলে সূচকের বড় পতন দিয়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে মাত্র ৩৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৬৩টির। আর ৬৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫৮ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৪৩১ পয়েন্টে নেমে গেছে। বাকি দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ১৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২৮৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪০৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
মূল্যসূচকের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও বড় অঙ্কে কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪০০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ২ হাজার ২৯৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৮৯৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে জেএমআই হসপিটাল অ্যান্ড রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের শেয়ার। কোম্পানিটির ৯৩ কোটি ১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা নাহি অ্যালমুনিয়ামের ৫৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৫৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইস্টার্ন হাউজিং।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বেক্সিমকো, ওরিয়ন ফার্মা, জিনেক্স ইনফোসিস, ন্যাশনাল পলিমার, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ এবং মালেক স্পিনিং।
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৭৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ২৭৪ টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৪টির ও ৪১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এমএএস/আরএডি/জেআইএম