ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

স্বর্ণ চোরাচালান রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বাজুসের দুই প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:২৭ পিএম, ৩০ আগস্ট ২০২২

স্বর্ণ চোরাচালান বড় ধরনের সংকট ও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চোরাচালান শুধু দুর্নীতিকে উৎসাহিত করছে না, অর্থনৈতিক সংকটও বাড়ছে। এসব পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে যৌথ মনিটরিং সেল গঠনসহ বাংলাদেশ ব্যাংককে দুই প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের কাছে এ প্রস্তাব দেয় বাজুস সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর।

বাংলাদেশ ব্যাংকে দেওয়া বাজুসের প্রস্তাবে বলা হয়, দেশের ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্য সংগঠন বাজুস দেশের জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়নে কাজ করছে। সারাদেশে প্রায় ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের নিরলস পরিশ্রমে প্রতিনিয়ত বড় হচ্ছে দেশের জুয়েলারি শিল্পের বাজার। এ খাতে বিদেশি বিনিয়োগ আসা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্প এখন রপ্তানির দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

এমন প্রেক্ষাপটে জুয়েলারি শিল্পে স্বর্ণ চোরাচালান বড় ধরনের সংকট ও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চোরাচালান শুধু দুর্নীতিকে উৎসাহিত করছে না। চোরাচালানের ফলে অর্থনৈতিক সংকট বাড়ছে। আমরা ধারণা করছি, প্রবাসী শ্রমিকদের রক্ত-ঘামে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার অপব্যবহার করে সারাদেশের জল, স্থল ও আকাশপথে প্রতিদিন কমপক্ষে ২০০ কোটি টাকার অবৈধ স্বর্ণালঙ্কার ও বার চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসছে, যা ৩৬৫ দিন বা একবছর শেষে দাঁড়ায় প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা।

এ অবস্থায় চোরাচালান, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ ও জুয়েলারি শিল্পের চলমান সংকট মোকাবিলায় বাজুসের পক্ষ থেকে দুটি প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। বাজুসের প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- স্বর্ণ চোরাচালান ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ এবং চোরাকারবারিদের চিহ্নিত করতে বাজুসকে সম্পৃক্ত করে যৌথ মনিটরিং সেল গঠন ও চোরাকারবারিদের দমনে প্রয়োজনে আইন সংশোধন করে কঠোর আইন প্রণয়ন করা।

ব্যাগেজ রুলের আওতায় স্বর্ণের বার ও অলঙ্কার আনার সুবিধা অপব্যবহারের কারণে ডলার সংকট, চোরাচালান ও মানিলন্ডারিংয়ে কী প্রভাব পড়ছে, তা নিরূপণে বাজুসকে যুক্ত করে যৌথ সমীক্ষা পরিচালনা। এ প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে স্বর্ণ চোরাচালান প্রতিরোধ ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রম আরও বেগবান হবে। ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অপচয় কমবে।

ইএআর/এমএএইচ/এমএস