ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

শতরঞ্জির জিআই স্বীকৃতি উদযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:১৪ এএম, ৩০ আগস্ট ২০২২

কারুপণ্য রংপুর লিমিটেডের হাত ধরে দেশ-বিদেশে জনপ্রিয় শতরঞ্জি এবার ভৌগলিক নির্দেশক (জিআই) স্বীকৃতি পেয়েছে। এ অনন্য অর্জনকে উদযাপন করেছে কারুপণ্য রংপুর। পাশাপাশি রাজধানীতে শতরঞ্জি প্রদর্শনের জন্য নতুন একটি বড় কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়েছে।

এ উপলক্ষে সোমবার ধানমন্ডির শুক্রাবাদের নন্দিনী ভবনে নতুন প্রদর্শন কেন্দ্রে প্রীতি সম্মেলন করা হয়। সেখানে অতিথি ছিলেন চিত্রশিল্পী মনিরুল ইসলাম, কবি নির্মলেন্দু গুণ এবং কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক।

এ অনুষ্ঠানে শতরঞ্জির ঐতিহ্য, বিবর্তনের ধারাবাহিকতাসহ পুরো ইতিহাস দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করা হয়। পাশাপাশি দেশের অন্যান্য হস্তশিল্পের সম্ভাবনার জায়গাটি তুলে ধরতে পাট, বাঁশ, কচুরিপানা, কাশিয়া ও লোহালকসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক উৎস থেকে পাওয়া কাঁচামাল নিয়ে তৈরি পণ্যের প্রদর্শনী করা হয়।

শতরঞ্জিকে ২০২০ সালে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তর (ডিপিডিটি)। বিগত তিন দশক ধরে রংপুরের ঐতিহ্যবাহী শতরঞ্জি নিয়ে কাজ করছেন উদ্যোক্তা সফিকুল আলম সেলিম। এই দীর্ঘ সময়ের প্রচেষ্টায় শতরঞ্জিকে তিনি নিয়ে গেছেন বিশ্ব দরবারে। বাংলাদেশের শতরঞ্জি এখন প্রশংসিত হচ্ছে ইউরোপের বাজারে। এর মধ্য দিয়ে শতরঞ্জিকে রংপুর অঞ্চলের ঐতিহ্যগত পণ্য হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হলো।

সফিকুল আলম সেলিম বলেন, শতরঞ্জি ছাড়াও কামার-কুমারদের তৈরি পণ্য এবং বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্পগুলোকে দেশের বাজারে জনপ্রিয় করে তোলার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও জনপ্রিয় করার জন্য কাজ করছি। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বাংলাদেশের অসংখ্য স্থানীয় পণ্য জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেতে পারে। এমন পণ্যের সংখ্যা হাজারের বেশি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শতরঞ্জি খুব ভালোবাসেন। তিনি এর প্রচারে বড় ভূমিকা রেখেছেন। নব্বইয়ের দশক থেকে এ শতরঞ্জি বিদেশি বড় বড় অতিথিদের উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগ্রহ দেখে বিসিক শতরঞ্জিকে অনেক সহায়তা করেছে। এখন রংপুরে ২৫০টি কারখানা গড়ে উঠেছে। সারাদেশের সব কারুপণ্যের দোকানে এখন শতরঞ্জি রয়েছে। এমনকি বিদেশে বড় বড় ব্যান্ড এখন সেটা বিক্রি করে।

নির্মলেন্দু গুণ বলেন, এ শতরঞ্জির প্রসার আমাদের জন্য আনন্দের। এটি আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যের বিস্তার ঘটাচ্ছে।

চিত্রশিল্পী মনিরুল ইসলাম বলেন, এসব হস্তশিল্প আমাকে অভিভূত করেছে। সাধারণ জিনিসপত্র দিয়ে এ কারুপণ্য রংপুরের কত মানুষকে কাজ দিয়েছে। ২০ হাজার পরিবার এ কাজ করে। বিদেশে তাদের কাজ জায়গা পাচ্ছে।

এনএইচ/জেডএইচ