সোনালীর ডাকাতি ও বেসিকের লুটের ক্ষত কাটতে সময় লাগছে
রাষ্ট্রায়ত্ত সোলানী ব্যাংকের ডাকাতি ও বেসিক ব্যাংকের উচ্চ পদস্থদের অর্থ লুটের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠতে ব্যাংকগুলোর সময় লাগছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
বুধবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ড. এম আসলাম আলম। সভাপতিত্ব করেন জনতা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান শেখ ওয়াহিদ-উজ-জামান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকিং খাতে আমাদের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ঝামেলা তৈরি করেছে। সোনালী ব্যাংকের অর্থ ডাকাতি এবং বেসিক ব্যাংকের উচ্চ পদস্থদের অর্থ লুটে ব্যাংক দুটির অবস্থা খারাপ। এই দূরাবস্থা কাটিয়ে ওঠতে সময় লাগছে।
দেশের ব্যাংকিং খাতের সার্বিক চিত্র তুলে ধরে মুহিত বলেন, অনেকে বলে দেশে ব্যাংক বেশি হয়ে গেছে। কিন্তু আমি মনে করি না। দেশে ৯ হাজার ব্যাংক শাখা। ১৬ কোটি মানুষ। ১৩ কোটি মানুষ দারিদ্র্য সীমার ওপরে। তাই অভ্যন্তরীণ চাহিদা বেড়েছে।
মুহিত বলেন, আর্থিক সূচকে জনতা ব্যাংক অন্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর থেকে ভালো করছে। ভালো মুনাফা করছে।
এ সময় আসলাম আলম বলেন, ব্যাংকিং খাতে তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো। আর্থিক সূচকে অনেক সময় ভালো দেখালেও সেটিও সঠিক না। প্রযুক্তির ব্যবহারে পিছিয়ে। তাই আরো সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে ঋণ দিতে হবে। কিন্তু ব্যাংকগুলো সেটি করে না। কমাতে হবে ঋণের সুদ হার।
জনতা ব্যাংকের ২০ হাজার কোটি টাকা মামলা জটিলতায় পড়ে আছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, এই টাকা উদ্ধারে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে নজর দিতে হবে। শুধুু আইনজীবী নিয়োগ করেই দায় সাড়লে হবে না।
অনুষ্ঠানে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী আব্দুস সালাম ব্যাংকের আর্থিক সূচক তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য দেন।
এসএ/এআরএস/পিআর