ঈদের আগে বাড়লো মাংসের দাম
ঈদুল আজহা সামনে রেখে রাজধানীর বাজারগুলোতে বেড়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় সব ধরনের মুরগির দামও চড়া।
শনিবার (৯ জুলাই) সকালে সরেজমিনে রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরুর মাংসের দাম কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে। মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০-২০ টাকা।
মিরপুর ১২ নম্বর এলাকার মুসলিম বাজার, ১১ নম্বরের কাচা বাজার ও ৬ নম্বর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৭০ টাকায়। গত সপ্তাহেও বাজারে গরুর মাংস ৬৮০-৭০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। আজ খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯৫০-১০০০ টাকায়।
বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকায়। যা গতকাল শুক্রবারও ছিল ১৬০ টাকা। সোনালী মুরগি বা লাল কক মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০-২৮০ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এ মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, শনিবার সারাদিন মাংসের দাম আরও উঠানামা করতে পারে। এক্ষেত্রে গরুর মাংস ও ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে আরও ৫-১০ টাকা বাড়তে পারে।
মিরপুরের মান্নু মাংস বিতানের স্বত্বাধিকারী মান্নু জাগো নিউজকে জানান, গরুর মাংসের দাম সবখানেই একই রকম। হাটে কোরবানির জন্য গরু বিক্রি হওয়ায় তাদের বেশি দামে গরু কিনতে হচ্ছে।
সরবরাহ ভালো থাকলেও বাড়তি দামে পাইকারদের কাছ থেকে কেনায় খুচরা বাজারে মুরগির দাম বেড়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
বাজারে তানিয়া আক্তার নামের একজন গৃহিণী জাগো নিউজকে বলেন, যারা কোরবানি দিতে পারে না তারা বাসার জন্য একটু মাংস কিনে ঈদের আগে। কিন্তু গরুর মাংসের যে চড়া দাম তাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ মাংস কেনার কোনোই সুযোগ নেই। মাংস কেনার পর অন্য বাজার করার টাকাই থাকছে না।
আরিফ নামের এক ক্রেতা জানান, বাজারের কোনো অভিবাবক নেই। দ্রব্যমূল্যের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। যে যত পারছে দাম হাঁকাচ্ছে। এতে সাধারণ ক্রেতাদের বাধ্য হয়ে কিনতেও হচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় ভোক্তা অধিকারের অভিযান পরিচালনা হলেও এতে তেমন প্রভাব পড়ে না বাজারে।
এসএম/এমকেআর/এমএস