ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

কেজিতে ৪০ টাকা কমেছে সোনালি মুরগির দাম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১:২৫ এএম, ১৭ জুন ২০২২

সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির দাম কমেছে। কেজিতে এই মুরগির দাম কমেছে ৪০ টাকা পর্যন্ত। সোনালি মুরগির পাশাপাশি কমেছে শসার দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে শসার দাম কমে অর্ধেকে চলে এসেছে। তবে আগের মতো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে গাজর, টমেটো।

শুক্রবার (১৭ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৯০ থেকে ৩১০ টাকা।

মুরগির দামের বিষয়ে খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে সোনালি মুরগির দাম কমতির দিকে। কিছুদিন আগে সোনালি মুরগির কেজি ৩৩০ টাকা বিক্রি করেছি, সেই মুরগি এখন ২৮০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। মনে হচ্ছে সামনে সোনালি মুরগির দাম আরও একটু কমতে পারে।

মালিবাগ হাজীপাড়ায় ২৫০ টাকা কেজি দরে সোনালি মুরগি বিক্রি করা আরিফুল বলেন, পাইকারিতে সোনালি মুরগির দাম কমেছে তাই কম দামে বিক্রি করতে পারছি। গত সপ্তাহে সোনালি মুরগির কেজি ২৯০ টাকা বিক্রি করেছিলাম।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা গত সপ্তাহের মতো সব থেকে বেশি দামে বিক্রি করছেন গাজর। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এই সবজির দামে পরিবর্তন আসেনি। তবে গত সপ্তাহে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শসার দাম কমে এখন ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

আজ পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজিটির দামে তেমন পরিবর্তন আসেনি। টমেটোর মতো অপরিবর্তিত রয়েছে বরবটি ও বেগুনের দাম। বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। তবে করলার দাম কমে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় এসেছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা।

এছাড়া কাঁচা পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, পটল, ঢেঁড়স, ঝিঙে, চিচিঙ্গার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজিগুলোর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে নতুন আসা বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা।

সবজির দামের বিষয়ে কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, এই সময় সাধারণত সবজির দাম বেশি থাকে। কারণ এখন সবজির সরবরাহ কম। আমাদের ধারণা আরও কয়েক মাস সবজির দাম বাড়তি থাকবে। শীতের সবজি আসলে আবার দাম কমে যাবে।

এদিকে ব্যবসায়ীরা আমদানি করা রসুনের কেজি বিক্রি করছেন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা। আর পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এগুলোর দামে পরিবর্তন আসেনি।

মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৬০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। কৈ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৩০ টাকা। পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব মাছের দামে পরিবর্তন আসেনি।

এমএএস/কেএসআর/এমএস