বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়নে নতুন প্রজন্মের ভিড়
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় কার্জন হলের আদলে গড়া প্রধান ফটক দিয়ে ভেতরে ঢুকে একটু সামনে এগিয়ে ডান দিকে ঘুরলেই দেখা যায় স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাদা পাঞ্জাবি পড়া একটি বিশাল ছবি। সেই সঙ্গে তার একটি ম্যুরাল। ভেতরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিভিন্ন ধরনের ছবিও রয়েছে। যার মাধ্যমে দেশের স্থপতিকে নতুন প্রজন্মের নিকট তুলে ধরা হয়েছে। আর এই প্যাভিলিয়নে নতুন প্রজন্মের পাশাপাশি সকল বয়সের দর্শনার্থীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
সরেজমিনে মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, প্যাভিলিয়নের সামনেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্য চোখে পড়ে। মেলায় অন্যান্য স্টল বা প্যাভিলিয়নে দর্শনার্থী ও ক্রেতারা কেনাকাটা শেষ করে বা কেনাকাটার আগেই এই প্যাভিলিয়নে ঘুরে যাচ্ছেন। নতুন প্রজম্মের মানুষদের নিকট এ প্যাভিলিয়ন অনেকটা আগ্রহের স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ও পারিবারিক জীবনের বিভিন্ন সময়ের মোট ১৬০টি ছবি স্থান পেয়েছে ওই প্যাভিলিয়নে। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে লেখা ২টি চিঠি, বিভিন্ন সময় দেয়া ১৫টি ভাষণ ও বাণী রয়েছে। সেই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে দেশি ও বিদেশি অনেক লেখকের লেখা মোট ৩৪টি বই রয়েছে প্যাভিলিয়নে। এর মধ্যে রয়েছে বেবী মওদুদের লেখা ছোটবেলায় শেখ মুজিব, মুনতাসীর মামুনের মানুষের বন্ধু বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু কোষ ও বঙ্গবন্ধুর অসমান্য ভাষণ, শিশু গ্রন্থমালায় প্রকাশিত ছবি ছড়ায় বঙ্গবন্ধু, শেখ মুজিবের জীবনের ২৬টি চিত্র ও ২৬টি ঘটনা, জাতির জনক ও তার জীবন, সেলিনা হোসেনের প্রিয় মানুষ শেখ মুজিব, মুক্তিযুদ্ধের নাট্য সংকলন ইত্যাদি প্যাভিলিয়নে স্থান পেয়েছে।
মেলায় রাজধানীর মালিবাগ থেকে অভিভাবকের সঙ্গে ঘুরতে এসেছেন ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসলিম। তার সঙ্গে আলাপকালে সে জানায়, আসলে বইয়ের পাতায় পড়েছি, ছোট ছোট ছবি দেখেছি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর এতো দুর্লভ ছবি কোথাও দেখিনি। মেলায় এসে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের এতো সুন্দর সুন্দর ছবি দেখে।
অনেক দর্শনার্থী বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছবি তুলচ্ছেন। অনেকে বঙ্গবন্ধুর লেখা চিঠির ছবি স্মার্ট ফোন দিয়ে তুলে নিচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির সঙ্গে সেলফিও তুলছেন অনেকে।
মেলায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য দেখছেন এমন একজন দর্শনার্থী আবু বক্কর। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে আমরা দেখিনি। উনার ইতিহাস পড়েছি। উনি অনেক বড় মাপের মানুষ ছিলেন। তার সঙ্গে তো আমাদের কোনো স্মৃতি নেই। তাই উনার ভাস্কর্যের পাশে দাঁড়িয়েও সেলফি তুলে নিজেকে ধন্য মনে করছি।
এসআই/একে/এসএইচএস