ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের বিষয় পরীক্ষা করা হবে: অর্থমন্ত্রী
দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে ব্যাপক ও দ্রুততর করার লক্ষ্যে ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের বিষয়টি পরীক্ষা করা হবে। বৃহস্পতিবার (৯ জনু) জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ভারতসহ এশিয়া অঞ্চলের কতিপয় দেশে ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার বিষয়টি প্রাথমিক বাস্তবায়ন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে। এরূপ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা হলে তরুণ আইটি কর্মীদের ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেন, দেশে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মতো সেবা চালুর ফলে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি সহজ হয়েছে। তবে এমএফএস সেবাদাতা কোম্পানিগুলোর মধ্যে লেনদেনের ক্ষেত্রে ইন্টার-অপারেবিলিটি ব্যবস্থা না থাকায় সেবা ব্যবহারকারীর সরাসরি আন্তঃলেনদেন সম্পন্ন করার সুযোগ ছিল না। সুতরাং আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে সরকার দেশে ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টার-অপারেবিলিটি ব্যবস্থা চালু করেছে এবং আন্তঃলেনদেনের ক্ষেত্রে নামমাত্র ফি ও চার্জ ধার্য করেছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডিজিটাল মুদ্রা (সেন্ট্রাল ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সি-সিডিবিসি) চালু করার মূল উদ্দেশ্য হলো ভার্চুয়াল লেনদেনের ক্ষেত্রে অর্থ আদান-প্রদান সহজ করা। স্টার্টআপ ও ই-কমার্স ব্যবসাকে উৎসাহ প্রদান করা। আমাদের সরকারের যুগোপযোগী পদক্ষেপের কারণে দেশে ইন্টারনেট ও ই-কমার্সের প্রসার ব্যাপক হারে বেড়েছে। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে সিডিবিসি চালু করার লক্ষ্যে একটি ফিজিবিলিটি স্টাডি পরিচালনা করা হবে।
করোনাভাইরাসের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের আকার হচ্ছে ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। এবারের বাজেটের আকার যেমন বড়, তেমনি এ বাজেটে ঘাটতিও ধরা হয়েছে বড়।
অনুদান বাদে এ বাজেটের ঘাটতি দুই লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা, যা জিডিপির সাড়ে ৫ শতাংশের সমান। অনুদানসহ বাজেট ঘাটতির পরিমাণ দুই লাখ ৪১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ দশমিক ৪০ শতাংশের সমান।
এটি বর্তমান সরকারের ২৩তম এবং বাংলাদেশের ৫১তম ও বর্তমান অর্থমন্ত্রীর চতুর্থ বাজেট। বাজেটে সঙ্গত কারণেই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কৃষিখাত, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ, কর্মসংস্থান ও শিক্ষাসহ বেশকিছু খাতকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
ইএআর/বিএ/এমএস