ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

সারে খরচ চারগুণ, ভর্তুকি বাড়ালেও দাম বাড়াবে না সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:২০ পিএম, ৩১ মে ২০২২

বৈশ্বিক করোনাভাইরাস মহামারির বিরূপ পরিস্থিতি এবং পরবর্তীসময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ববাজারে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে সারের দাম। যদিও দেশের কৃষি উৎপাদনের অন্যতম এ উপকরণটিতে বরাবরই আমদানি ভর্তুকি দিয়ে আসছে সরকার। তবে কোভিড-পরবর্তী চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে সার বাবদ সরকারের ব্যয় বেড়ে গেছে প্রায় চারগুণ। আগামী বাজেটে এ খাতে সরকার ভর্তুকি বাড়ালেও গ্রাহক পর্যায়ে সারের দাম বাড়ানো হবে না, এমনটিই বলছেন বাজেট সংশ্লিষ্টরা।

২০২০-২১ অর্থবছরে সারে ভর্তুকি ছিল সাত হাজার ৭১৭ কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরে বেড়ে ৩০ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। অথচ সারের জন্য ভর্তুকি খাতে বাজেট ছিল নয় হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

এ অবস্থায় আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে সরকার সারে প্রণোদনা (ভর্তুকি) বাড়িয়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা করার পরিকল্পনা করছে বলে জানা গেছে। বাজেট সংশ্লিষ্টরাও এ ভর্তুকি বরাদ্দ বাড়ানো হতে পারে বলে মনে করছেন।

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই কৃষককে সার ও বীজসহ কৃষি উপকরণে প্রণোদনা দিয়ে আসছে কৃষি মন্ত্রণালয়। ২০০৮-০৯ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত বিগত ১৩ বছরে শুধু সারের জন্য সরকার ভর্তুকি দিয়েছে প্রায় ৮২ হাজার কোটি টাকা। যেখানে চলতি অর্থবছরে ভর্তুকি বাজেট বরাদ্দ ছিল সাড়ে নয় হাজার কোটি টাকা।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জাগো নিউকে জানিয়েছেন, মাসখানেক আগেই অর্থ বিভাগের সুপারিশের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে এক বৈঠকে এই কৃষি উৎপাদন উপকরণটির ভর্তুকি বাজেট বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। কারণ, সরকার ভর্তুকি দিলেও গ্রাহক পর্যায়ে সারের দাম বাড়াতে চায় না।

এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমকে বলেছেন, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছর সারে ভর্তুকি বাবদ সরকারের খরচ হবে ৩০ হাজার কোটি টাকা। আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে কৃষিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেবে সরকার। সারের দাম বাড়ানো হবে না। কারণ, দাম বাড়লে কৃষি উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব পড়বে।

তথ্য বলছে, গত অর্থবছরে (২০২০-২১) প্রতি কেজি ইউরিয়া সারের আমদানি ব্যয় ছিল ৩২ টাকা, টিএসপি ৩৩ টাকা, এমওপি ২৩ টাকা আর ডিএপি ৩৭ টাকা। যা চলতি অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রম ৯৬ টাকা, ৭০ টাকা, ৫৪ টাকা ও ৯৩ টাকায়। তবে কৃষকদের মধ্যে প্রতি কেজি ইউরিয়া ১৬ টাকা, টিএসপি ২২ টাকা, এমওপি ১৫ টাকা এবং ডিএপি ১৬ টাকায় বিক্রি করছে সরকার।

এনএইচ/এমকেআর/এমএস