ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

শেয়ারবাজারে দাম কমার সীমা কমালো বিএসইসি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:১৯ পিএম, ২৫ মে ২০২২

শেয়ারবাজারে চলমান দরপতনের প্রেক্ষিতে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার সীমা কমিয়ে সার্কিট ব্রেকারের নতুন নিয়ম চালু করেছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) থেকে এ নিয়ম কার্যকর হবে। এর ফলে এখন থেকে একদিনে কোনো প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম সর্বোচ্চ ২ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারবে। এতদিন এ সীমা ছিল ৫ শতাংশ পর্যন্ত।

বুধবার (২৫ মে) বিএসইসি থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম জাগো নিউজকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন দেখা দিলে গত ৮ মার্চ একদিনে দর কমার সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে দুই শতাংশ করে বিএসইসি। তবে ২০ এপ্রিল তা বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা হয়। অর্থাৎ চলতি বছর তিন দফা দাম কমার সীমা পরিবর্তন করলো বিএসইসি।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম জাগো নিউজকে বলেন, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার সীমা কমিয়ে দুই শতাংশ করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত এখন থেকেই কার্যকর হবে।

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপে ২০২০ সালের দেশের শেয়ারবাজারে ভয়াবহ ধস নামলে ওই বছরের ১৯ মার্চ প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম বেধে দিয়ে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দেয় বিএসইসি।

তবে বাজার পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় গত বছরের জুনে সব প্রতিষ্ঠানের ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। পাশাপাশি ছয়টি ক্যাটাগরিতে সার্কিট ব্রেকার (দাম কমা বা বাড়ার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সীমা) নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।

সেসময় নির্ধারণ করা নিয়ম অনুযায়ী, ২০০ টাকার নিচে থাকা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার নির্ধারণ করা হয় ১০ শতাংশ। অর্থাৎ যেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বা ইউনিটের দাম ২০০ টাকার নিচে, তার শেয়ার বা ইউনিটের দাম একদিনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তে বা কমতে পারবে।

একইভাবে শেয়ার বা ইউনিটের দাম ২০০-৫০০ টাকার মধ্যে থাকা প্রতিষ্ঠানের সার্কিট ব্রেকার ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ, ৫০০-১০০০ টাকার ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার ৭ দশমিক ৭০ শতাংশ, ১০০০-২০০০ টাকার ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, ২০০০-৫০০০ হাজার টাকার ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার ৫ শতাংশ এবং ৫০০০ টাকার ওপরে হলে সার্কিট ব্রেকার ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। মঙ্গলবার (২৪ মে) পর্যন্ত এ নিয়মেই শেয়ারবাজারে লেনদেন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) থেকে শেয়ার বা ইউনিটের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার আগের নিয়মই বহাল থাকবে। তবে দাম কমার সর্বোচ্চ সীমা হবে ২ শতাংশ। অর্থাৎ একদিনে ২ শতাংশের বেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমতে পারবে না।

এমএএস/এএএইচ/জেআইএম