ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

উৎপাদন বাড়াতে প্রযুক্তি ব্যবহার করবে জিপিএইচ ইস্পাত

প্রকাশিত: ০১:৪৪ পিএম, ২০ জানুয়ারি ২০১৬

উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেড।এ লক্ষ্যে প্রযুক্তি সরবরাহকারী এ প্রতিষ্ঠানটি অস্ট্রিয়ার প্রাইমেটালস টেকনোলজিসের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে। বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে জিপিএইচ ইস্পাতের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও প্রাইমেটালসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিনার রোহেল নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি সই করেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আলমগীর কবির বলেন, ইতোমধ্যে আমরা নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছি। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে চাই। এ জন্য আমাদের সব দিক থেকে উন্নয়ন প্রয়োজন।

তিনি আরো বলেন, জিপিএইচ ইস্পাত তার প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা রড উৎপাদনের জন্য যে প্রযুক্তি এনেছি সেটি দেশের উন্নয়নে অনেক ভূমিকা রাখবে। নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করার মাধ্যমে একদিকে যেমন দেশের গ্যাস, বিদ্যুৎ খরচ কম হবে। অপরদিকে তুলনামূলক কম মূল্যে সবার হাতে পৌঁছে দিতে পারবো।

হিনার রোজেল বলেন, আপনারা আমাদের এই টেকনোলজির উপর বিশ্বাস রাখতে পারেন। এই টেকনোলজি ব্যবহার করার ফলে আপনারা ঠকবেন না। আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে জিপিএইচ ইস্পাত অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা এই আধুনিক প্রযুক্তিতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য প্রাইমেটালস টেকনোলজিসের সঙ্গে যে চুক্তি সই করেছি। এই পদ্ধতি ব্যবহার করার ফলে আমাদের গ্যাস ও বিদ্যুৎ উভয়ই সাশ্রয়ী হবে। কর্মসংস্থান হবে প্রায় ৯ হাজার লোকের।

তিনি আরো জানান, উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর এই প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা দেশি-বিদেশি ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হবে। সুদের হার ৫ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে থাকবে। আর বাকি অর্থ কোম্পানির নিজস্ব তহবিল। রাইট শেয়ারের মাধ্যমে এবং কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে।

কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, এই নতুন প্রকল্পে উৎপাদন শুরু হলে প্রতি বছর প্রায় ২৫০ কোটি টাকা সরকারি তহবিলে জমা দিতে পারবো। এর মধ্যে কর্পোরেট ট্যাক্স ৪০ কোটি টাকা, মূল্য সংযোজন কর বাবদ ৬০ কোটি টাকা, কাস্টমস ডিউটি ১৪০ কোটি টাকা এবং বাকি ১০ কোটি টাকা বিভিন্ন পোর্টের চার্জ হিসেবে দেওয়া হবে।

বর্তমানে জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের কারখানায় ১ লাখ ৬৮ হাজার মেট্রিক টন এমএস বিলেট এবং ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন এমএস রড উৎপাদিত হয় বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, নতুন এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এমএস বিলেটের বার্ষিক উৎপাদন ৮ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন বেড়ে ১০ লাখ ৮ হাজার মেট্রিক টনে দাঁড়াবে। একইসঙ্গে এমএস রডের বার্ষিক উৎপাদন ৬ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন বেড়ে ৭ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদন সম্ভব হবে। অর্থাৎ কোম্পানির বার্ষিক উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ৫ গুণ বাড়বে।

উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমাস শিমুল, পরিচালক আব্দুর রওফ, আশরাফুজ্জামান ও আব্দুল আহাদ, বিভিন্ন কোম্পানির চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এসআই/আরএস/আরআইপি