ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার উপর নির্ভর করছে প্রবৃদ্ধি

প্রকাশিত: ১০:৩৩ এএম, ১৪ জানুয়ারি ২০১৬

সতর্ক, সংযত ও সমর্থনমূলক নতুন মূদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূদ্রানীতির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জন করা নির্ভর করছে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার উপর। এমনটা মনে করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
 
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে চলতি অর্থ বছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন’ ২০১৬) নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে তিনি এ কথা বলেন।
 
গভর্নর বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি অর্থবছরে দ্বিতীয়মোট দেশজ উৎপাদনে ৬ দশমিক ৮ থেকে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে। তবে বর্তমান রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকলে অর্থবছর শেষে এই প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশও স্পর্শ করতে পারে জানান তিনি।

তিনি বলেন, নতুন এ মুদ্রানীতিতে কমানো হয়েছে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন। বেশ কিছুদিন ধরে চলে আসা বিনিয়োগ মন্দার কারণে চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর’ ২০১৫) ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫ শতাংশ। তাই এবার একটু সতর্ক হয়েই কেন্দ্রীয় এ খাতের ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ। আর পাবলিক সেক্টরের ঋণ প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ।

তবে বিনিয়োগ পরিস্থিতির যদি উন্নয়ন ঘটে তবে লক্ষ্যমাত্রা আরো বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গর্ভনর ড. আতিউর রহমান। গভর্নর বলেন, আমারা চাই আমাদের ঋণ বিতরণের যে প্রবৃদ্ধি ঘটবে তা যেন সামগ্রীক হয়। একজন উদ্যোক্তাকে বড় ঋণ না দিয়ে অর্থাৎ ৫শ’ কোটি টাকা একজনকে না দিয়ে ৫ জনকে ১শ’ কোটি করে ঋণ সহয়াতা দেয়ার নীতিতে এগিয়ে যাচ্ছি।

দেশের প্রবৃদ্ধির স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে এখন রফতানি খাতের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে হবে বলে জানান গভর্নর। তিনি বলেন, উৎপাদন ও বিনিয়োগ বাড়ানো এবং রফতানি পণ্য সম্প্রসারণের মাধ্যমে আমাদের রফতানি খাতের আরো উন্নয়ন ঘটাতে হবে। শুধু রফতানি নয়, এখন সময় এসেছে রফতানির পাশাপাশি আরেকটি ‘গ্রোথ ইঞ্জিন’ যুক্ত করার। আর সেটি হচ্ছে আমাদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা। সামনের দিনগুলোতে এই দুই ইঞ্জিনের মধ্যে অভ্যন্তরীণ চাহিদার ইঞ্জিনটিকে আরো শক্তিশালী করাকেই বেশি প্রাধান্য দিতে হবে। সেজন্য আমাদের জাতীয় সঞ্চয়ের হার আরো বাড়াতে হবে এবং সেই সঞ্চয়কে উৎপাদনশীল খাতে বেশি করে বিনিয়োগ করতে হবে বলে জানান তিনি।

বেসরকারি খাতের রফতানিমুখী শিল্পের জন্য বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত ৫০ কোটি ডলারের দুটি তহবিল থেকে ঋণ নেওয়ার সুযোগের রয়েছে বলে জানান গভর্নর। তিনি আরো বলেন, নতুন কাঠামোর পে-স্কেল মূল্যস্ফীতিকে বাড়তে পারে এমন আশঙ্কাও বিবেচনায় নেয়া হবে। এজন্য মুদ্রা সরবরাহে মুদ্রানীতিতে সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। কমতি নীতি সুদহার, যথাযথ ঋণ যোগান এবং ব্যাপক মুদ্রা সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে আমাদের এই পলিসি রিক্যালিব্রেশন (নীতি পুনঃসমন্বয়) মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে একদিকে কোনো বিঘ্ন ঘটাবে না, অন্যদিকে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য যথেষ্ট হবে বলে মনে করেন গভর্নর।

উল্লেখ্য, গত জুনে মূল্যস্ফীতি ছয় দশমিক ৪ শতাংশ থেকে কমে ডিসেম্বরে ৬ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়ায়। ঘোষিত নতুন নীতিতে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ১ শতাংশ।

এসআই/এসএইচএস/আরআইপি

আরও পড়ুন