ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

এনার্জিপ্যাক পাওয়ারের আইপিও অনুমোদন

প্রকাশিত: ০৫:৩৭ এএম, ০৬ জানুয়ারি ২০১৬

পুঁজিবাজার থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের জন্য এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডকে অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

মঙ্গলবার কমিশনের ৫৬৩তম নিয়মিত সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে বিএসইসির হির্বাহী পরিচালক ও মূখপাত্র মো. সাইফুর রহমান নিশ্চিত করেছেন।

এনার্জিপ্যাক পাওয়ার শেয়ারবাজারে মোট ১ কোটি ৬৭ লাখ ৩০ হাজার ২০০টি সাধারণ শেয়ার ছাড়বে। ১৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের বরাদ্দ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ টাকা।

সম্প্রতি প্রকাশিত পাবলিক ইস্যু বিধিমালার চূড়ান্ত সংশোধনী অনুযায়ী, আইপিওতে কোনো কোম্পানি প্রিমিয়াম চাইলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির জন্য বুক বিল্ডিং পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন প্রিমিয়ামে শেয়ার অফলোড করলেও প্রতিষ্ঠানটিকে স্থিরমূল্য পদ্ধতিতে আইপিওর অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

আইপিও থেকে পাওয়া অর্থ ব্যাংকঋণ পরিশোধ, চলতি মূলধন জোগান ও আইপিও প্রক্রিয়ার ব্যয় নির্বাহ করবে বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানিটি।

এ কোম্পানির গত পাঁচ বছরের গড় শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) ২ টাকা ৯১ পয়সা। ২০১৫ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ৩১ টাকা ১৩ পয়সা। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।

প্রসঙ্গত, শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ২০১২ সালের ২২ অক্টোবর স্থিরমূল্য পদ্ধতিতে আইপিওর খসড়া প্রসপেক্টাস জমা দেয় এনার্জিপ্যাক পাওয়ার। সে সময় ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের বরাদ্দ মূল্য চাওয়া হয়েছিল ৫৫ টাকা (৪৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ)। মোট ৪ কোটি ৫৪ লাখ শেয়ার ছেড়ে ২৪৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা সংগ্রহের প্রস্তাব দেয় এনার্জিপ্যাক। উল্লেখিত অর্থ দিয়ে এলপিজি প্লান্ট ও গ্যাস কনডেনসেট রিফাইনারি প্রকল্প করার পরিকল্পনা ছিল কোম্পানিটির। পরবর্তি সময়ে স্থিরমূল্য পদ্ধতির পরিবর্তে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ার অফলোডের পরিকল্পনা নেয় এনার্জিপ্যাক। তবে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে প্রায় দুই বছর পর আবারো স্থিরমূল্য পদ্ধতিতে আইপিওর আবেদন জানায় কোম্পানিটি।

এসআই/এএইচ/পিআর