ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

বাণিজ্য মেলায় নান্দনিক আসবাবের পসরা সাজিয়েছে ‘রিগ্যাল’

প্রকাশিত: ০১:২৪ পিএম, ০৫ জানুয়ারি ২০১৬

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় কেউ আসছে পণ্য কিনতে আবার কেউ আসছে প্রদর্শনী দেখতে। সব ধরনের ক্রেতা দর্শনার্থীদের কথা মাথায় রেখে বাণিজ্য মেলায় নান্দনিক আসবাবের পসরা সাজিয়েছে দেশের বৃহৎ শিল্প পরিবার প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘রিগ্যাল’।

ঘরের অলঙ্কার আসবাবপত্র। সৌন্দর্য বাড়াতে নান্দনিক আসবাবপত্রের বিকল্প নেই। স্বল্প দামে ভালো আসবাব সামগ্রী সবাই চায়। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের ক্রয় ক্ষমতা মাথায় রেখে সাশ্রয়ী মূল্যে গুণগত মানসম্পন্ন কাঠের তৈরি ফার্নিচার নিয়ে বাণিজ্য মেলায় প্রদর্শন করছে রিগ্যাল।  

মেলা উপলক্ষে বিশেষ ছাড়ের পাশাপাশি বিনা খরচে গ্রাহকের বাড়ি পর্যন্ত (ফ্রি হোম ডেলিভারি) পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। মনমাতানো ডিজাইনে করা রিগ্যালের ফার্নিচারের প্যাভিলিয়নে ভিড় করছেন ক্রেতা-দর্শনার্থীরা। ২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় রিগ্যালের প্যাভিলিয়নে দেখা গেছে এমন চিত্র।

regal1
এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য মেলার দায়িত্বে থাকা রিগ্যালের এরিয়া ম্যানেজার ফায়াজুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, স্বল্প মূল্যে ভালো ও বিশ্বমানের আসবাব নিয়ে এসেছে রিগ্যাল।

তিনি আরো বলেন, পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সুনাম রয়েছে। মেলার দিন যতই যাচ্ছে আমাদের ক্রেতা-দর্শনার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে। বিক্রিও ভালো হচ্ছে। তবে মেলায় অংশগ্রহণের মূল উদ্দেশ্য দেশের মানুষের কাছে আমাদের রিগ্যালের পণ্যের পরিচয় করিয়ে দেয়া। মেলায় ক্রেতাদের সম্মানে ১৫ শতাংশ বিশেষ ছাড় দেয়া হচ্ছে একই সঙ্গে ফ্রি হোম ডেলিভারি সুবিধা রয়েছে।

এ বছর রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের সাড়া গত বছরের তুলোনায় ভালো পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, এখানে আমরা ১০০টির বেশি ডিজাইনের আসবাব নিয়ে এসেছি। যা ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে।

ফায়াজুল ইসলাম বলেন; খাট, ওয়ারড্রব, ড্রেসিং টেবিল, সোফা, ডাইনিং, চেয়ার থেকে শুরু করে ঘরের প্রায় সব আসবাব মিলবে রিগ্যালের প্যাভিলিয়নে। সুন্দর ও আকর্ষণীয় ফার্নিচারগুলো তৈরি করা হয়েছে কাঠ, ফ্লাই উড ও মেটাল দিয়ে।

আমেনা বেগম নামের এক দর্শনার্থী বলেন, মেলায় অনেক ব্র্যান্ডের আসবাব প্রদর্শন হচ্ছে। ঘুরে ঘুরে দেখছি। রিগ্যালের ফার্নিচার মানে ও দামে অন্য ব্র্যান্ডের চেয়ে কিছুটা ভালো মনে হচ্ছে। আজ দেখতে এসেছি পরে এসে কিনবো।

মেলায় নতুন আকর্ষণ তিন ধরনের হোম সেট। যার মধ্যে রয়েছে আলমিরা, খাট ও ড্রেসিং টেবিল। প্রতিটি হোম সেটে ১৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে। হোম ডেলিভারিতো ফ্রি রয়েছেই।

regal1
মেলার বিভিন্ন ফার্নিচারের মধ্যে রয়েছে :
ওক কাঠের খাট : রিগ্যালের ফার্নিচারে ওক কাঠ দিয়ে বানানো খাটগুলোর উচ্চতা ৮০০ মিলিমিটার। এর দৈর্ঘ্য ২০৭০ মিলিমিটার থেকে ২২৪০ মিলিমিটার এবং প্রস্থ ১৫৬০ মিলিমিটার থেকে ১৭৪০ মিলিমিটার। এসব খাটের দাম ঘাট ভেদে ভিন্ন রকম।
 
ওক কাঠের ডাইনিং টেবিলে : কাঁচ এবং ওক কাঠের সমন্বয়ে পাওয়া যাবে ছয়টি চেয়ারসহ ডাইনিং টেবিল। এসব ডাইনিং টেবিলের উচ্চতা ৭৭০ মিলিমিটার, ৯১৪ থেকে ১০০০ মিলিমিটার প্রস্থ এবং ১৫২৪ থেকে ১৭০০ মিলিমিটার দৈর্ঘ্য।

ইজি চেয়ার : মাত্র সাড়ে ৪ হাজার টাকার স্টিলের ইজিচেয়ার থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকার ওক কাঠের ইজি চেয়ারও পাওয়া যাচ্ছে এখানে।

বোর্ড ও আলমারি : বিভিন্ন সাইজ ও ডিজাইনের সমাহারে তৈরি বোর্ড এবং ওক কাঠের আলমারি ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামে পাওয়া যাচ্ছে এখানে।

ওয়্যারড্রব : ১২২০ মিলিমিটার উচ্চতার ওয়্যারড্রবের প্রস্থ ৬০০ মিলিমিটার এবং ৭৮৫ থেকে ১৩০০ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের তৈরি। যেটাতে সাইড ড্রয়ারসহ আছে তিন বা চারটি ড্রয়ার। এর দামও খুব বেশি নয়।

সোফাসেট : সিঙ্গেল, ডাবল ও ট্রিপল সেটসহ আছে অফিস ও বাসার জন্য সোফাসেট। দাম হাতের নাগালে থাকা এসব সোফাসেটের দৈর্ঘ্য ৪৮০ থেকে শুরু করে ১৮৪০ মিলিমিটার পর্যন্ত।

উল্লেখ, ১ জানুয়ারি শুক্রবার মাসব্যাপি ২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত এবারের মেলায় বাংলাদেশসহ মোট ২২টি দেশ অংশ নিয়েছে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। মেলায় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রবেশ মূল্য বা টিকিট মূল্য ৩০ টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য থাকছে ২০ টাকা করে।

এ বছর ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ১৩টি ক্যাটাগরিতে মোট ৫৫৩টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে  প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন ৬০টি, জেনারেল প্যাভিলিয়ন ১০টি, রিজার্ভ প্যাভিলিয়ন ৩টি, ফরেন প্যাভিলিয়ন ৩৮টি অন্যতম। এছাড়া প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন ৩৬টি, জেনারেল মিনি প্যাভিলিয়ন ১৩টি, রিজার্ভ মিনি প্যাভিলিয়ন ৬টি, ফুড স্টল ২৫টি ও রেস্টুরেন্ট ৫টি।

এসআই/এসএইচএস/আরআইপি