ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

যেসব খাতে আরও বিনিয়োগ করছে প্রাণ-আরএফএল

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:১৮ পিএম, ০৬ জানুয়ারি ২০২২

দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ প্রাণ-আরএফএল আগামীদিনে তেল, আটা, ময়দাসহ বিভিন্ন ধরনের ভোগ্যপণ্য, পোলট্রি ব্যবসার পাশাপাশি মোবাইল ফোন উৎপাদনে আসছে।

এছাড়া গার্মেন্টস, জুতা, গ্লাসওয়্যারসহ বিভিন্ন খাতে বাজারে নিজেদের আবস্থান শক্ত করতে আরও বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে প্রাণ-আরএফএল। এজন্য প্রায় ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে দেশের শীর্ষস্থানীয় এ শিল্পগ্রুপ। ফলে ২০ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

এরই মধ্যে সয়াবিন বীজ প্রসেসিং ও তেল পরিশোধন, আটা, লবণ, ডাল, স্টার্চ, ফিডমিলসহ কয়েকটি পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে গাজীপুরের মুক্তারপুরে কালিগঞ্জ অ্যাগ্রো প্রসেসিং লিমিটেড (কেএপিএল) নামে নতুন একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরির কাজ করছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। ১৮০ বিঘা আয়তনের এ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে এখন স্থাপনা নির্মাণ ও মেশিন বসানোর কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এ কারখানায় উৎপাদিত পণ্য বাজারে আসতে পারে।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) কক্সবাজারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গ্রুপের বিভিন্ন চড়াই-উতরাইয়ের গল্প শোনান গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল। সেই সঙ্গে তুলে ধরেন আগামীদিনের ব্যবসার বিভিন্ন দিক। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার (জনসংযোগ) তৌহিদুজ্জামান ও ম্যানেজার মাকছুদ উল ইসলামসহ প্রতিষ্ঠানের জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

আগামীদিনের পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরে কামরুজ্জামান কামাল বলেন, গাজীপুরের কালিগঞ্জ অ্যাগ্রো প্রসেসিং লিমিটেড ১৮০ বিঘা জমির ওপর নির্মিত ভোগ্যপণ্য ও ফিডমিলে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে।

নরসিংদীতে প্রাণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে মোবাইল ও অ্যাকসেসরিজ তৈরি করা হবে। ১০ কোটি টাকা বিনিয়োগের এই প্রতিষ্ঠানে মাসে ১ লাখ স্মার্টফোন ও দেড় লাখ ফিচার ফোন উৎপাদন হবে।

রাজশাহীর গোদাগাড়িতে বরেন্দ্র ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে ২৫ হাজার স্কয়ার ফুট জায়গাজুড়ে তৈরি পোশাক খাতের কারখানাটিতে এ বছর আরও ২০টি লাইন চালু হবে। এতে বিনিয়োগ করা হবে ৫০ কোটি টাকা।

যেসব খাতে আরও বিনিয়োগ করছে প্রাণ-আরএফএল

এছাড়া নরসিংদীতে ডাঙ্গা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে বর্তমানে ওয়াকার ফুটওয়্যারের ৬ লাখ জোড়া জুতা তৈরি হয়, ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এর সম্প্রসারণ কাজ শুরু হচ্ছে। নতুন কারখানা হলে ৯ লাখ জোড়া জুতা তৈরি করা যাবে।

নরসিংদীতে প্রাণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে বর্তমানে মাসে আড়াই লাখ স্কয়ার ফুট গ্লাসওয়্যার উৎপাদন হয়। ৫৫ কোটি টাকা বিনিয়োগে এর সম্প্রসারণের কাজ শেষ হলে সাড়ে ৭ লাখ স্কয়ার ফুট গ্লাসওয়্যার উৎপাদন সম্ভব হবে।

এছাড়া ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে ১৫০ বিঘা জমিতে নির্মিত হচ্ছে পোলট্রি শিল্প কারখানা। এখান থেকে বাৎসরিক ১৫ কোটি পিস ডিম ও ৩৬০ টন মুরগির মাংস উৎপাদন সম্ভব হবে।

দেশের উত্তরাঞ্চলের দরিদ্র জনগণের জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানি ও কৃষিকাজে সেচের পানি সরবরাহের উদ্দেশ্যে টিউবওয়েল ও কৃষিসহায়ক যন্ত্রপাতি তৈরির মাধ্যমে ১৯৮১ সালে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেডের (আরএফএল) মাধ্যমে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের যাত্রা শুরু। পরে কৃষিপণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের দিকে মনোনিবেশ করে এবং ১৯৯৩ সালে নরসিংদীতে কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত করার জন্য একটি কারখানা স্থাপন করা হয়। এরপর প্রাণ-আরএফএল গ্রুপকে আর ফিরে থাকাতে হয়নি। ড্রিংকস, সস, জেলি, চানাচুর, চিপস, মসলা, চকলেট, বেকারি, ফ্রোজেন ফুডস, টয়লেট্রিজ, দুগ্ধজাত পণ্য, হাউজওয়্যার, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকসসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য উৎপাদন এবং বাজারজাত করার মাধ্যমে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ হয়ে উঠেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান।

আইএইচআর/ইএ/জেআইএম