শুরুতে নিম্নমুখী সূচক, লেনদেনে ধীরগতি
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস বড় দরপতনের পর দ্বিতীয় কার্যদিবসে (সোমবার) লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে লেনদেনে বেশ ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।
প্রথম আধাঘণ্টায় লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩৫ পয়েন্ট পড়ে গেছে। আর লেনদেন হয়েছে একশ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)-ও প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৪ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
তবে পরের ১০ মিনিটে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ে। এতে ঊর্ধ্বমুখী হয় সূচক। ফলে লেনদেনের ১০ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
কিন্তু সূচকের এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমতে থাকায় অল্প সময়ের মধ্যে সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের তুলনায় ১৫ পয়েন্টে কমেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৯ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক দশমিক ৫৭ পয়েন্ট কমেছে।
এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৪০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৫টির। আর ৫৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৩০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৩ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ৮২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৩১টির, কমেছে ৩৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১২টির।
এমএএস/জেএইচ/জেআইএম