বড় ওষুধ কোম্পানির রমরমা ব্যবসা, ধুঁকছে ছোটরা
দেশে ব্যবসা করা ওষুধ ও রসায়ন খাতের বড় প্রতিষ্ঠানগুলো দাপটের সঙ্গে ব্যবসা করলেও ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো খুব একটা সুবিধা করতে পারছে না। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে টিকে থাকাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিগুলোর সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মহামারি করোনার মধ্যে এ খাতের কোম্পানিগুলো বেশ ভালো ব্যবসা করেছে। তবে এ ব্যবসার সিংহভাগ রয়েছে গুটিকয়েক কোম্পানির দখলে। ছোট কোম্পানিগুলো খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। ফলে লোকসানের খাতায় নাম লেখাতে হয়েছে একাধিক কোম্পানিকে।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, পুঁজিবাজারে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি আছে ৩২টি। এর মধ্যে ২৩টি চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বাকি নয়টি কোম্পানি এখনো সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করতে পারেনি।
এই মধ্যে রয়েছে- বিকন ফার্মা, এমবি ফার্মা, এএফসি অ্যাগ্রো, অ্যাকটিভ ফাইন, ইমাম বাটন, কেয়া কসমেটিকস, লিব্রা ইনফিউশন, সিলকো ফার্মা এবং ওয়াটা কেমিক্যাল।
যে প্রতিষ্ঠানগুলো সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ের আর্থিক তথ্য প্রকাশ করেছে তার মধ্যে ৪টি কোম্পানি লোকসানের মধ্যে রয়েছে। আরও ৩টির মুনাফা গত বছরের তুলনায় কমে গেছে। একটির সম্পদমূল্য ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে। বিপরীতে ১৬টির মুনাফা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের মুনাফা বাড়লেও ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো। এর মধ্যে দেশে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করা স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, রেনাটা লিমিটেড, রেকিট বেনকিজার, মেরিকো বাংলাদেশ, একমি ল্যাবরেটরিজ স্বমহিমায় তাদের অবস্থান ধরে রেখেছে। ভালো মুনাফা করার পাশাপাশি কোম্পানিগুলোর সম্পদমূল্যও ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
এর মাঝে দেশের বাজারে দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করছে বহুজাতিক কোম্পানি রেকিট বেনকিজার। চলতি বছরের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর, এই নয় মাসের ব্যবসায় কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ১০৫ টাকা ২০ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৯১ টাকা ৪৪ পয়সা। এ হিসেবে আগের বছরের তুলনায় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে ১৩ টাকা ৭৬ পয়সা। মুনাফার পাশাপাশি কোম্পানিটির সম্পদের পরিমাণও বেড়েছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১৩৬ টাকা ১৫ পয়সা, যা ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ছিল ১০৯ টাকা ৮ পয়সা।
দেশে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করা আরেক বহুজাতিক কোম্পানি মেরিকো বাংলাদেশও মুনাফার দিক থেকে পিছিয়ে নেই। চলতি বছরের এপ্রিল-সেপ্টেম্বর সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৬২ টাকা ৭৩ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৫৬ টাকা ৬৭ পয়সা। মুনাফার পাশাপাশি এই কোম্পানিটিরও সম্পদমূল্য আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ দাঁড়িয়েছে ৭৪ টাকা ৬৯ পয়সা, যা গত বছরের সেপ্টেম্বর শেষে দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকা ৫৭ পয়সা।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের দেশীয় কোম্পানিগুলোর মধ্যে শেয়ারপ্রতি মুনাফার দিক থেকে সবার ওপরে রয়েছে রেনাটা। চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ১৪ টাকা ১৯ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১২ টাকা ৭০ পয়সা। অন্যদিকে চলতি বছরের জুনে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ ছিল ২৬৩ টাকা ৮৫ পয়সা, যা সেপ্টেম্বর শেষে দাঁড়িয়েছে ২৭৮ টাকা ১৮ পয়সা।
সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করা আরেক দেশীয় কোম্পানি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৫ টাকা ৬৪ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪ টাকা ৪৪ পয়সা। মুনাফার পাশাপাশি কোম্পানিটির সম্পদমূল্যেও বড় উত্থান হয়েছে। সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১০৮ টাকা ৭১ পয়সা, যা জুনে ছিল ১০২ টাকা ৫৪ পয়সা।
নিয়মিত বড় মুনাফা করা আরেক কোম্পানি ইবনে সিনাও ভালো মুনাফা করেছে। জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৪ টাকা ৫৪ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ২৫ পয়সা। মুনাফার সঙ্গে এ কোম্পানিটিরও সম্পদমূল্যও বেড়েছে। গত জুনে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ ছিল ছিল ৬৮ টাকা ৬৯ পয়সা, তিন মাস পর সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে হয়েছে ৭৩ টাকা ২৩ পয়সা।
তবে এবার মুনাফায় বড় চমক দেখিয়েছে এসিআই লিমিটেড। কোম্পানিটি চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৩ টাকা ৯৩ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৫৪ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির মুনাফা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। মুনাফার সঙ্গে এ কোম্পানিটিরও সম্পদমূল্য বেড়েছে। গত জুনে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ ছিল ১৬২ টাকা ৬৫ পয়সা। তিন মাস পর সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে হয়েছে ১৬৬ টাকা ১৭ পয়সা।
এ বিষয়ে এসিআইয়ের কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, করোনার মধ্যে ওষুধের বাড়তি একটা চাহিদা ছিল। এসিআইয়ের ব্যবসা ভালো হয়েছে। স্যাভলন, হেক্সিসল, অ্যারোসল স্প্রে- এগুলোর বাড়তি চাহিদা ছিল। ফলে ভালো মুনাফা করা সম্ভব হয়েছে।
একমি ল্যাবরেটরিজের কোম্পানি সচিব আরশাদুল কবির জাগো নিউজকে বলেন, বড় কোম্পানিগুলো কেন ভালো মুনাফা করছে এবং ছোটরা কেন পারছে না সেটি আমি বলতে পারব না। তবে একমি সব সময় মানসম্পন্ন পণ্য বাজারজাত করে।
এদিকে বড় কোম্পানিগুলো ভালো মুনাফা করলেও বেক্সিমকো সিনথেটিক, সেন্ট্রাল ফার্মা, ফার কেমিক্যাল এবং গ্লোবাল হেভী কেমিক্যাল লোকসানের মধ্যে পতিত হয়েছে।
এর মধ্যে বেক্সিমকো সিনথেটিক চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান করেছে ৪৭ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয় ৮৫ পয়সা। লোকসান করার পাশাপাশি কোম্পানিটির সম্পদেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ৩ টাকা ২৫ পয়সা। আর জুন শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদ ছিল ঋণাত্মক ২ টাকা ৭৮ পয়সা।
ফার কেমিক্যাল চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান করেছে ৩ পয়সা। আগের বছরের এক সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয় ১ পয়সা। লোকসান করার পাশাপাশি কোম্পানিটির সম্পদেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৬৮ পয়সা। জুন শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদ ছিল ১৩ টাকা ৭১ পয়সা।
গ্লোবাল হেবি কেমিক্যাল চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান করেছে ২১ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছিল ১৭ পয়সা। লোকসান করার পাশাপাশি এ কোম্পানিটির সম্পদেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ দাঁড়িয়েছে ৫৪ টাকা ৪৪ পয়সা। যা জুন শেষে ছিল ৫৪ টাকা ৬৫ পয়সা।
লোকসানে পতিত হওয়া আরেক প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ফার্মা চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান করেছে ৮ পয়সা। আগের বছরের এ সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয় ৮ পয়সা। লোকসান করার পাশাপাশি কোম্পানিটির সম্পদেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৪৫ পয়সা। তিন মাস আগে জুন শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদ ছিল টাকা ৬ টাকা ৫৩ পয়সা।
বড় কোম্পানিগুলো ভালো করলেও ছোটরা কেন পারছে না- এমন প্রশ্নের উত্তরে এসিআইয়ের কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, এসিআই ব্যবসায় ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। ৩০ বছর ধরে এটা দেখছি। ছোট কোম্পানিগুলো কেন ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারছে না, এটা আমরা বলতে পারব না। এটা তারাই বলতে পারবে।
এ নিয়ে সেন্ট্রাল ফার্মার কোম্পানি সচিব তাজুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, করোনার সময় প্রথম যে ব্যক্তি মারা যান তিনি ছিলেন আমাদের ফ্যাক্টরির পাশে, টোলারবাগ মিরপুরে। করোনা আতঙ্কের কারণে তখন আমাদের ওয়ার্কাররা কেউ ছুটি নিয়ে, কেউ বলে, কেউ না বলে চলে গেছেন। এখনো আমরা গুছিয়ে উঠতে পারিনি। ওয়ার্কার নিতে পারছি না। এছাড়া গত বছর ওষুধ প্রশাসনের একটি নির্দেশনায় ফ্যাক্টরি রেনোভেশন করার কারণে কিছুদিন আমাদের উৎপাদন বন্ধ ছিল। আবার কাঁচামালের দাম বেশি। সব মিলিয়ে আমরা একটু ঝামেলায় পড়ে গেছি। তবে আশা করি ধীরে ধীরে এটা ওভারকাম করতে পারব।
বড় কোম্পানিগুলো ভালো ব্যবসা করতে পারলেও ছোট কোম্পানিগুলো কেন পারছে না? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, স্কয়ার, বেক্সিমকো, রেনাটা, এসিআইয়ের মতো বড় কোম্পানিগুলোর বয়স ৫০ বছর। তাদের এস্টাব্লিশমেন্ট আমাদের থেকে অনেক বেটার। আমরা তাদের থেকে বেশ দুর্বল। তাছাড়া বড় কোম্পানিগুলোর ওষুধ প্রেসক্রিপশনে সেল হয়, আমাদের পুশিং সেল। সবকিছু মিলে আমরা তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারি না এবং ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারি না।
তিনি আরও বলেন, ছোট কোম্পানিগুলোর পক্ষে টিকে থাকাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে। তাদের (বড় কোম্পানি) কোনো কোনো ওষুধ আছে যাতে ৪০০-৫০০ গুণ প্রফিট। আবার কমন যে ওষুধ আমরা (ছোট কোম্পানি) বাজারজাত করি, তারা ওই ওষুধ বিক্রি করে লো মার্জিনে। এ অবস্থায় আমরা তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারছি না। কোন রকমে সারভাইভ করে আছি।
এদিকে এসিআই ফরমুলেশন, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস, জেএমআই সিরিঞ্জ ও মেডিসিন, কহিনুর কেমিক্যাল, ওরিয়ন ইনফিউশন, সালভো কেমিক্যালের মুনাফা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে।
এর মধ্যে এসিআই ফরমুলেশন চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ১ টাকা ১৭ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪২ পয়সা। অ্যাডভেন্ট ফার্মা শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৪০ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩৭ পয়সা। ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৩৪ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩৩ পয়সা।
এছাড়া জেএমআই সিরিঞ্জ ও মেডিসিন শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৮৬ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৮০ পয়সা। কহিনুর কেমিক্যাল শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ২ টাকা ৭২ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৭২ পয়সা। ওরিয়ন ইনফিউশন শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৭২ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪৭ পয়সা। আর সালভো কেমিক্যাল শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৫৫ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২০ পয়সা।
মুনাফা কমে যাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একমি পেস্টিসাইড চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৪৭ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৪৮ পয়সা। ওরিয়ন ফার্মার শেয়ারপ্রতি আয় ৮২ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৩০ পয়সা। আর সিলভা ফার্মা শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ২৯ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৩৫ পয়সা।
এ নিয়ে সালভো কেমিক্যালের কোম্পানি সচিব লিটন কুমার রায় জাগো নিউজকে বলেন, করোনার কারণে সারাবিশ্বের মতো আমাদের দেশেও উৎপাদন, সাপ্লাই চেইনে ব্যাঘাত ঘটে। করোনা পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আসায় এখন এটা স্বাভাবিক অবস্থার দিকে যাচ্ছে। অনেক কিছু বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, এখন চালু হওয়ার কারণে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এ কারণে ব্যবসা হওয়ায় আমাদের মুনাফা একটু বেড়েছে।
তিনি বলেন, ওষুধের কাজে আমাদের কেমিক্যাল লাগে সামান্য পরিমাণ। তবে এটা বলতে পারি গত দুই বছরে ওষুধ শিল্পের লাভের পরিমাণ অনেক বেশি। কারণ এমন কোন ওষুধ নেই যা বিক্রি হয়নি।
এমএএস/এমএইচআর/এসএইচএস/এমএস