এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরাও পে-স্কেলভুক্ত
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্যও নতুন পে-স্কেল কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে একথা জানান তিনি। তবে এতে দু-এক মাস সময় লাগতে পারেও বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
যদিও মঙ্গলবার প্রকাশিত পে-স্কেলের গেজেটে পরিষ্কারভাবে এই লাখ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর বিষয়ে কোনো কিছু না থাকায় হতাশায় ভেঙে পড়েন। সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, অর্থ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবেই মূলত এই শিক্ষক-কর্মচারীরা জানুয়ারি থেকে পে-স্কেলে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেননি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, এমপিওভুক্তির নতুন নীতিমালার সঙ্গে পে-স্কেলের কোনো সম্পর্ক নেই। একটির সঙ্গে অপরটি কেন মিলিয়ে ফেলা হচ্ছে, তা তারা বুঝতে পারছেন না।
যদিও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠন শেষে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নীতিমালা না হওয়া পর্যন্ত এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা নতুন পে-স্কেল অনুযায়ী ‘বর্ধিত বেতন’ পাবেন না। তবে মুহিত এ কথাও বলেন, নতুন স্কেলেই বেতন পাবেন শিক্ষকরা। আরো কিছু সময় লাগবে।
বর্তমানে সারাদেশের ২৬ হাজার ৭০টি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪ লাখ ৭৭ হাজার ২২১ জন শিক্ষক-কর্মচারী এমপিওভুক্ত রয়েছেন। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এমপিওভুক্তি খাতে সরকারের খরচ হয়েছে ৭ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা। তবে নানাভাবে এ অর্থের অপচয় হচ্ছে বলে মনে করে অর্থ মন্ত্রণালয়। এ জন্য অপচয় বন্ধ করে গত জুলাইয়ে এমপিওভুক্তির জন্য একটি যুগোপযোগী ও কার্যকর নীতিমালা প্রণয়ন করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বলা হয়। ওই নীতিমালা প্রণীত হলে তার আলোকে এমপিওভুক্তির কার্যক্রম যৌক্তিকভাবে ঢেলে সাজানো হবে।
এসএইচএস/এমএস