শুরুতে বড় উত্থান, ধসে হলো শেষ
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার লেনদেনের শুরুতে দেশের শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের বড় উত্থান হলেও ধসের মাধ্যমে শেষ হয়েছে লেনদেন। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের বড় পতনের সঙ্গে কমেছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম।
এর আগে গত সপ্তাহে শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসেই মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক এক সপ্তাহে ২৭৭ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এই বড় উত্থানের পর রোববারও লেনদেনের শুরুতে মূল্যসূচকের বড় উত্থানের প্রবণতা দেখা যায়।
অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে লেনদেন শুরু হওয়ায় প্রথম মিনিটেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৪০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। শুরুর ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকে প্রথম ঘণ্টার লেনদেনজুড়ে। ফলে প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৭৮ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
কিন্তু লেনদেনের শেষ দুই ঘণ্টায় একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটর দরপতন হতে থাকে। ফলে সূচকের বড় উত্থান দেখতে দেখতে পতনে রূপ নেয় বাজার এবং লেনদেন শেষে এক প্রকার ধসে পরিণত হয় শেয়ারবাজার।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় যেখানে আড়াইশর বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে, সেখানে লেনদেন শেষে দাম বাড়ার তালিকায় থাকে মাত্র ৮৩টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ২৬১টি। আর ৩২টির দাম অপরিবর্তিত থাকে।
এতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫৬ পয়েন্ট কমে সাত হাজার ২০২ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৯ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ৬৩৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ১৬ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৫৭৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সবকটি মূল্যসূচকের পতন হলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ৭০৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় দুই হাজার ৬৯৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
টাকার অংকে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৮০ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকো ফার্মার ৬৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৫২ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, ডেলটা লাইফ, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও নিটল ইন্স্যুরেন্স।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৪৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১১৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৩০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২১৪টির ও ২০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এমএএস/এআরএ/জিকেএস