ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

করোনাকালে শিক্ষাখাতে এক টাকাও ব্যয় করেনি ২৭ ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১০:০৯ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০২১

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তাই করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার (সিএসআর) অংশ হিসেবে শিক্ষাখাতে এক টাকাও ব্যয় করেনি মোট ব্যাংকের প্রায় অর্ধেকই। অর্থাৎ দেশে ৬১টি ব্যাংক কার্যক্রম পরিচালনা করলেও এর মধ্যে ২৭টি ব্যাংকের শিক্ষাখাতে ব্যয় শূন্য। বাকি ব্যাংকগুলো এ খাতে নামমাত্র ব্যয় করেছে।

টেকসই উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) হলো এক ধরনের ব্যবসায়িক শিষ্টাচার বা রীতি। যা সমাজের প্রতি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালনকে ব্যবসার নিয়মের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে। বিশ্বের প্রতিটি দেশেই সিএসআর খাতে ব্যয়কে করপোরেট প্রতিষ্ঠানের অন্যতম দায়িত্ব হিসেবে দেখা হয়ে থাকে।

২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো প্রজ্ঞাপন জারি করে সিএসআর খাতে ব্যয় করার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তারপর একাধিকবার প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ, আয় উৎসারী কার্যক্রম, অবকাঠামো, সংস্কৃতি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে সিএসআরের অর্থ ব্যয় করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সিএসআর খাতে ব্যয়ের ক্ষেত্রে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। এ দুটিতে মোট ব্যয়ের অন্তত ৩০ শতাংশ শিক্ষা এবং ২০ শতাংশ স্বাস্থ্যখাতে খরচের কথা থাকলেও বর্তমানে করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য খাতকে বিশেষ মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত দেশে কার্যক্রম চলা ৬০ ব্যাংকের মাধ্যমে শিক্ষাখাতে ব্যয় হয়েছে মাত্র ২৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২৭ ব্যাংক এক টাকাও ব্যয় করেনি। মাত্র আটটি ব্যাংক এ খাতে কোটির ঘর অতিক্রম করেছে, আর ১৯ ব্যাংকের ব্যয় লাখের ঘরেই। এছাড়া বাকি ছয়টি ব্যাংক নামমাত্র টাকা ব্যয় করেছে।

ব্যাংকখাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনাকালীন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ব্যয়ের জন্য সরকারি বিশেষ নির্দেশনা ছিল। তাছাড়া করোনায় দীর্ঘদিন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এ খাতে ব্যাংকের বিনিয়োগ কমেছে। এসব কারণে শিক্ষায় ব্যয়ও কমেছে।

আলোচ্য সময়ে যেসব ব্যাংক শিক্ষাখাতে এক টাকাও ব্যয় করেনি এমন ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক।

বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, মেঘনা ব্যাংক, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক এবং বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক।

বিদেশি ব্যাংকগুলোর মধ্যে এইচএসবিসি ২৭ লাখ টাকা শিক্ষা খাতে ব্যয় করলেও আল-ফালাহ ব্যাংক, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন, সিটি ব্যাংক এনএ, হাবিব ব্যাংক, এনবিপি, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ও উরি ব্যাংক এক টাকাও শিক্ষাখাতে ব্যয় করেনি।

ইএআর/এমআরআর/জেআইএম