বেতন দিয়েছে মোট কারখানার ৭৪ শতাংশ, বোনাস ১৬
আগামী ২১ জুলাই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। এ ঈদকে কেন্দ্র করে শ্রমিক সংগঠনগুলো প্রতিটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে বেতন-বোনাস পরিশোধের আহ্বান জানায়। মালিকপক্ষও বেতন-বোনাস দেয়া শুরু করেছে, তবে ধীর গতিতে।
আর মাত্র এক সপ্তাহের কম সময় বাকি থাকলেও সারাদেশের মোট সাত হাজার ৮২৪টি কারখানার মধ্যে বেতন পরিশোধ করেছে ৭৪ শতাংশ কারখানা। আর বোনাস পরিশোধ করেছে ১৬ শতাংশ কারখানা।
বুধবার (১৪ জুলাই) শিল্প পুলিশের সর্বশেষ তালিকা বলছে, ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও খুলনা অঞ্চল মিলে মোট সাত হাজার ৮২৪টি কারখানা রয়েছে। এই ছয় অঞ্চলের কারখানার মধ্যে পাঁচ হাজার ৭৫৮টি কারখানা জুন মাসের বেতন পরিশোধ করেছে, এখনো বেতন পরিশোধ করেনি দুই হাজার ৬৬টি।
অন্যদিকে এসব কারখানার মধ্যে বোনাস পরিশোধ করেছে মাত্র এক হাজার ২৩৪টি কারখানা। এখনও বোনাস পরিশোধ করেনি ছয় হাজার ৫৮০টি।
হিসাব বলছে, মোট কারখানার ৭৪ শতাংশ বেতন এবং ১৬ শতাংশ বোনাস পরিশোধ করেছে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২৩টি কারখানা বেতন পরিশোধ করেছে এবং ১৮৯টি কারখানা তাদের শ্রমিকদের বোনাস পরিশোধ করেছে।
এদিকে এখনো বেতন ও বোনাস পরিশোধে অনীহাকে অন্যায় বলছেন শ্রমিক সংগঠনগুলো। তারা বলছে, করোনাকালে এমনিতেই দুরবস্থায় রয়েছে শ্রমিকরা। এখন তাদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে হবে, অন্যথায় শ্রমিক অঙ্গনে অসন্তোষ বাড়বে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ওএসকে গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ দত্ত বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমরা ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন বোনাস পরিশোধের দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু সেই তুলনায় বেতন কিছুটা পরিশোধ করা হলেও এখনো অনেক কারখানার মালিক বেতন দেননি। আর বোনাসের ক্ষেত্রে আমরা অনেকটা অনীহা দেখছি। সরকার এ নিয়ে দায় এড়াতে পারে না। আমরা সরকারের কাছে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানাই।
এ বিষয়ে নিটওয়্যার মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতি এবং ফতুল্লা অ্যাপারেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফজলে শামীম এহসান বলেন, আমাদের পোশাক কারখানার অধিকাংশই বেতন পরিশোধ করেছে। আজও অনেক কারখানার মালিক বেতন পরিশোধ করেছেন, বাকিগুলো আগামীকালের মধ্যে হবে, আশা রাখি।
তিনি আরও বলেন, সপ্তাহে চার দিন ব্যাংক খোলা থাকায় অনেকেই টাকা নিতে পারেননি, তবে প্রতিটি কারখানাই ছুটির আগেই বোনাস পরিশোধ করা হবে। কিন্তু পোশাকখাতের বাইরে বেতন-বোনাস নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। প্রতিটি শ্রমিকই চায় পরিবারের সঙ্গে সুন্দরভাবে ঈদ উৎযাপন করতে। আশা করি প্রত্যেক মালিকই শ্রমিকদের ঈদ উৎযাপনে সহযোগিতা করবেন।
ইএআর/এআরএ