ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

বন্ধই থাকবে পিপলস লিজিংয়ের শেয়ার লেনদেন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৫১ পিএম, ০৮ জুলাই ২০২১

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিকখাতের প্রতিষ্ঠান পিপলস পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের (পিএলএফএসএল) শেয়ার লেনদেন বন্ধের মেয়াদ আরও ১৫ দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। এর মাধ্যমে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকার মেয়াদ ৪০ বার বাড়ল।

ডিএসইর নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পিপলস লিজিংয়ের শেয়ার লেনদেন ১২ জুলাই থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। নানা সংকটে থাকা পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের কার্যক্রম বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বন্ধের উদ্যোগ নেয়ার পর ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই থেকে শেয়ারবাজারে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন বন্ধ করে দেয় ডিএসই।

এর আগে পিপলস লিজিং বন্ধের উদ্যোগ নেয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যে কারণে অনেক শেয়ারহোল্ডার পানির দরে কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করে দিতে চান। কিন্তু ক্রেতার অভাবে হতাশ হতে হয় তাদের। নামমাত্র অর্থে বিক্রির প্রস্তাব দিলেও ক্রেতার অভাবে হতাশ হন শেয়ারহোল্ডাররা।

২০১৯ সালের জুলাইতে অনিয়ম, দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনায় চরম সংকটে থাকা পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস কার্যক্রম বন্ধের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংক কোম্পানিটি অবসায়নের উদ্যোগ নিলে শেয়ারহোল্ডাররা আতঙ্কে পানির দরে শেয়ার বিক্রি করে দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু দফায় দফায় দাম কামানোর পরও ক্রেতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

এ পরিস্থিতিতে কারসাজির শঙ্কায় কোম্পানিটির শেয়ার শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ করে দেয় ডিএসইর পর্ষদ। প্রাথমিকভাবে ডিএসইর পর্ষদ সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, যতদিন কোম্পানিটির অবসায়নের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসবে, ততদিন লেনদেন বন্ধ থাকবে। তবে এরপর ১৫ দিন করে শেয়ার লেনদেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ১৫ দিন করে ডিএসই কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন বন্ধ রাখছে এবং মেয়াদ শেষ হলে আবারও ১৫ দিন সমায় বাড়ানো হচ্ছে।

এদিকে পিপলস লিজিং অবসায়ন না করে তা পুনর্গঠন বা পুনরুজ্জীবিত করার ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে পুনর্গঠন বা পুনরুজ্জীবিত করতে পরিচালনা পর্ষদ (বোর্ড) গঠন করে দিয়েছেন আদালত।

পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডকে পুনর্গঠন বা পুনরুজ্জীবিত করা হবে কি-না, এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের পক্ষে আইনজীবীদের মতামত শুনানি নিয়ে গত ২৮ জুন হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

তার আগে চলতি বছরের ২১ জুন পিপলস লিজিং সংশ্লিষ্ট ২০১ জন আমানতকারীর বক্তব্যের ওপর শুনানি নেন হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একই ভার্চুয়াল বেঞ্চ।

১৯৯৭ সালের ২৪ নভেম্বর আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পিপলস লিজিংকে অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। আর ২০১৯ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পিপলস লিজিংকে অবসায়নের পক্ষে সম্মতি দেয় সরকার। এরপর আদালতের আদেশে নিযুক্ত হন অবসায়ক।

পিপলস লিজিং থেকে টাকা নিয়ে ফেরত না দেয়া ১২৯ জনের মধ্যে বিদেশে পলাতক প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদার একজন। তালিকায় তার নাম উঠে এসেছে পাঁচবার। তিনি একাই পৃথক চারটি কোম্পানি ও নিজের নামে ২৫৩ কোটি ৯৩ লাখ ৮৯ হাজার ৭৬৩ টাকা ঋণ নিয়েছেন।

এমএএস/এসএস/জিকেএস