আগামী বাজেট হবে ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকার
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আগামী বাজেটের আকার তিন লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা হতে পারে। গত বাজেট ছিল তিন লাখ কোটি টাকা ছিল। এবারের বাজেটে আরো ৪০ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হতে পারে। এমনটাই আমি চিন্তা করছি।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় সিলেট সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, গত ৫ বছর খালেদা জিয়া উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করেছেন। দেশব্যাপী জ্বালাও-পোড়াও করেছেন। তারপরও বিশ্ব ব্যাংকে স্বল্প উন্নত ৪৮ দেশের মধ্যে শিক্ষা, শিল্প, কৃষি ও মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ নেতৃত্ব স্থানে রয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, দেশে নতুন করে আর কোনো পে-স্কেল ঘোষণা করা হবে না। এবার যে পে-স্কেল হয়েছে, সে অনুযায়ী পাঁচ বছর অন্তর অন্তর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা অটোমেটিকলি বাড়বে।
তিনি বলেন, খুব শিগগিরই ঘোষিত পে-স্কেল কার্যকর করা হবে। তবে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছেনা। এটি এখন আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পাঠানোর পরপরই তা কার্যকর করে প্রজ্ঞাপন আকারে জারি হবে।
তিনি আরো বলেন, তবে যে সময়ই পে-স্কেল ঘোষণা হোক না কেনো। নতুন পে-স্কেল অনুযায়ী জুলাই থেকে বেতন-ভাতা পাবেন কর্মকর্তারা। এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
মতবিনিময়কালে আরো উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের সদ্য বিদায়ী স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মন্ত্রীর সহোদর ড. একে আবদুল মোমেন, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. জয়নাল আবেদীন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধরাণ সম্পাদক সাবেক শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদউদ্দিন আহমদ প্রমুখ।
এর আগে দুপুরে নগরীর রিকাবীবাজারস্থ কবি নজরুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালের জাতিসংঘের বিশেষ কমিটির সভায় বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাবে বলে আমাদের ধারণা। এ সময় মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হলে ২০২১ সালের মধ্যে আমদানি ও রফতানিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে যেসব সাহায্য-সহযোগিতা আমরা পাই সেগুলো কমে আসবে।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগর সভাপতি, সাবেক সিটি মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধরাণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী পরিচানায় কর্মীসভায় বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাড. লুৎফুর রহমান, সহ-সভাপতি আশফাক আহমদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, অর্থমন্ত্রীর ছোট ভাই ড. একে মোমেন প্রমুখ।
ছামির মাহমুদ/এআরএ/পিআর