কমেছে পেঁয়াজের দাম
ঈদের পরে ভারত থেকে সরবরাহ কম থাকার কারণে দেশের বাজারে কেজিপ্রতি পাঁচ টাকা করে বেড়ে যায় সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। এখন দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় সেই বাড়তি দাম কমে এসেছে। খুচরায় আবারও ৪০ টাকা কেজিতে দেশির পাশাপাশি বিদেশি পেঁয়াজও মিলছে।
ঈদের পরপরই ভারতের পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল। এর প্রভাব পড়ে দেশি পেঁয়াজের বাজারেও। এতে খুচরা বাজারে ভারতীয় এবং দেশি উভয় ধরনের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে একই দামে। বাজারে তখন উভয় ধরনের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। যা ঈদের আগেও ৪০ থেকে ৪৫ টাকার মধ্যে ছিল।
পেঁয়াজের আমদানিরকারক আবদুল মাজেদ বলেন, করোনার বিধিনিষেধে ভারত থেকে পেঁয়াজ আনা যাচ্ছে না। ঈদের পর পর দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কম ছিল। গ্রামগঞ্জের আড়ৎগুলো বন্ধ ছিল। সেই সময় দাম কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু বর্তমানে প্রচুর দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ থাকায় দাম কমে এসেছে।
তিনি বলেন, দেশি পেঁয়াজের দাম ওই সময়ও বাড়েনি মোকামে। কিন্তু ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা পর্যায়ে দেশি পেঁয়াজও বাড়তি দামে বিক্রি হয়েছে।
রাজধানীর রামপুরা, তালতলা, শান্তিনগরসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খুব ভালো মানের বাছা দেশি পেঁয়াজ কিনতে দাম কিছুটা বেশি লাগছে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়।
তবে সবখানেই দেশি পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় আমদানি করা পেঁয়াজ খুব একটা কিনছেন না ক্রেতারা।
তালতলা বাজারের খুচরা বিক্রেতা সুমন বলেন, প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ঈদের পরে মোকামে ৩৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এখন কমে যা ৩৪ টাকা হয়েছে।
অন্যদিকে, কাঁচাবাজারে ঈদের পর থেকে বেড়ে যাওয়া সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তবে মাছ-মাংসের দাম কমেনি।
কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্ধ থাকা আড়ৎ, দোকানপাট সব কিছু খুলেছে। গ্রাম থেকে সবজির সরবরাহ বেড়েছে ধীরে ধীরে। ফলে বাড়তি দাম কমে আসছে।
কয়েকদিন আগে খুচরা বাজারে এক কেজি পেঁপের দাম উঠেছিল ৮০ টাকায়। এখন তা ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া কাঁচামরিচের দাম কমে ৬০ থেকে ৮০ টাকায় এসেছে। আর বাজারে সবচেয়ে কম দামের সবজি পটল আর ঢেঁড়স। এ সবজি দুটির দাম কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। এছাড়া অন্য যেকোনো সবজির দাম ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে। যা ঈদের পরে দুই-তিনদিন আরও ১০-২০ টাকা বেশি ছিল।
এদিকে, বাজারে ঈদের কারণে বন্ধ থাকা দোকানগুলো খুলেছে। বেড়েছে ক্রেতার আনাগোনাও। যদিও ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখনও বাজারে পুরোপুরি চাঞ্চল্য ফিরে আসেনি। আগামী সপ্তাহ থেকে বাজার পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে।
ফার্মের মুরগি ১৪৫-১৫০ টাকা থেকে নামেনি। একই সঙ্গে পাকিস্তানি মুরগি ২৬০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৪০ টাকা ও দেশি মুরগি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
এনএইচ/এসএস/জেআইএম