ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

২০৪১ সালে বাংলাদেশে ব্যাপক কর্মসংস্থান হবে : শিল্পমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:২৮ পিএম, ০৮ মে ২০২১

২০৪১ সালে বাংলাদেশে ব্যাপক হারে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার শিল্পবান্ধব বলেই, বিগত ১২ বছর ধরে দেশের শিল্পোন্নয়নের জন্য কাজ করছে। আর সে কারণেই আজ দেশে নতুন নতুন শিল্প পার্ক স্থাপিত হচ্ছে।

শনিবার (৮ মে) গাজীপুরের শ্রীপুরে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের (ইপিজেএল) এনার্জিপ্যাক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মন্ত্রী। ভার্চুয়ালি তিনি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারিতে যেখানে বিশ্বের বড় বড় দেশ হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে আমাদের জীবন ও জীবিকা উভয় সচল। পাশাপাশি শিল্প কারখানাও চালু রয়েছে। দেশের মানুষ একেবারে কর্মহীন হয়ে পড়েনি। চতুর্থ শিল্প বিল্পবের এই সময় বিশ্বের বড় বড় দেশেগুলোর সঙ্গে শিল্প উৎপাদনে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে আমাদের আরও আধুনিক শিল্প পার্ক স্থাপনের কোনো বিকল্প নেই।

তিনি আরও বলেন, মহামারিতে বাংলাদেশ গত বছর জিডিপি ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। জাতীয় অর্থনীতি সচল রাখতে লকডাউনের মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় শিল্প কারখানা চালু রাখা হয়েছে। যাতে মানুষ কর্মহীন না হয়ে পড়ে।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশীয় একটি প্রতিষ্ঠান ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক নির্মাণের মতো প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে দেখে আমি আনন্দিত। এই এনার্জিপ্যাক শিল্প পার্কটি অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য ও এনার্জিপ্যাক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের উপর একটি প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন ইপিজেএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও হুমায়ুন রশিদ।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ইপিজেএলের চেয়ারম্যান প্রকৌশলি রবিউল আলম এবং পরিচালক এনামুল হক চৌধুরী।

এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ইপিজেএলের পরিচালক নুরুল আক্তার, পরিচালক রেজওয়ানুল কবির, স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল আমিন এবং স্বতন্ত্র পরিচালক মিকাইল শিপার।

এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের এমডি ও সিইও হুমায়ুন রশিদ বলেন, এনার্জিপ্যাক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে এবং অর্থনীতির বিকাশ সাধন করবে। এ পার্কের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও পরিবহন খাতের পাশাপাশি দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নেও ব্যাপক অবদান রাখবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই পার্কে দেড় মেগাওয়াট পর্যন্ত লোড পরীক্ষা ও গ্ল্যাড ব্র্যান্ডের বার্ষিক ৫শ’ জেনারেটর তৈরি করতে সক্ষম এমন একটি বিশ্বমানের প্ল্যান্ট রয়েছে। যা ভবিষ্যতে ৩ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোড পরীক্ষা করতে পারবে এবং প্ল্যান্টটি এক হাজার গ্ল্যাড জেনারেটর তৈরি করতে পারবে।

তাছাড়া, এনার্জিপ্যাক বিশ্বমানের ইলেকট্রিক ডিবি বক্স নির্মাণ এবং বাজারজাতকরণের পরিকল্পনা করছে। পার্কটিতে জেএসি কমার্শিয়াল ভেহিকেলগুলোর জন্যও একটি অ্যাসেম্বলিং প্ল্যান্ট রয়েছে, যেখানে প্রতি বছর ১২০০ গাড়ি অ্যাসেম্বল করা যায়। এই সক্ষমতা ১৫শ’তে উন্নীত করবে এবং একটি বাস অ্যাসেম্বলিং প্ল্যান্ট ও বৈদ্যুতিক বাহন তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

এখানে ১৮ হাজার মেট্রিক টন বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন প্রিফেব্রিকেটেড স্টিল বিডিং তৈরির একটি প্ল্যান্ট রয়েছে। এছাড়া, এনার্জিপ্যাকের প্রি-ইঞ্জিনিয়ারিং লো-কস্ট হাউজ, নাট-বল্টু, ওয়্যার মেশ এবং প্রোফাইল শিট তৈরি এবং সেগুলোর বিপণনের পরিকল্পনা রয়েছে।

এনএইচ/জেডএইচ/এমকেএইচ