১৫ লাখ পরিবার প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার পাচ্ছে নগদে
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট চলমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন পেশায় কাজ হারানো ১৪ লাখ ৯৭ হাজার পরিবারকে দেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার বিতরণ শুরু করেছে ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ।
জিটুপি পদ্ধতিতে তালিকাভুক্ত প্রতিটি পরিবার আড়াই হাজার টাকা করে সহায়তা পাচ্ছে, যা ঈদের আগেই বিতরণ শেষ করবে দেশের অন্যতম শীর্ষ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস অপারেটর নগদ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার (০২ মে) ভোলা, চট্টগ্রাম এবং জয়পুরহাট জেলায় ১৫টি দরিদ্র পরিবারকে ঈদ উপহার বিতরণের মাধ্যমে গণভবন থেকে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আয়োজন করা অনুষ্ঠানে নিজ নিজ জেলা থেকে সংশ্লিষ্ট জেলার ডেপুটি কমিশনাররাসহ ভাতাভোগীরা অংশ নেন। গণভবন থেকে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) আহমদ কায়কাউস। এসময় অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নগদ ছাড়াও আরও দুটি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সব মিলে এই দফায় প্রায় ৩৩ লাখ ৩৯ হাজার পরিবারকে ঈদ উপহার দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
এই দফায় নগদের মাধ্যমে মোট সুবিধাভোগীর ৪৫ শতাংশ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বিতরণ করা হবে। বাকি দুটি অপারেটরের একটি ৩১ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং অপর একটি কোম্পানি অবশিষ্ট অংশ বিতরণ করবে। প্রথম দিন সব মিলে প্রায় ১১ হাজার জন সুবিধাভোগীকে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়েছে।
সরকারি সাহায্যের এই টাকা ক্যাশ-আউটের ক্ষেত্রে উপকারভোগীদের বাড়তি কোনো খরচ লাগছে না। মোট ক্যাশআউট খরচের ১৫ টাকা দেবে সরকার, বাকি অংশ বহন করবে নগদ। সুবিধাভোগীদের প্রত্যেকে প্রতি হাজারে নগদের অ্যাপ বহির্ভূত ক্যাশআউট রেট হাজারে ১৪ টাকা ৯৪ পয়সা হিসেবে মোট সাড়ে ৩৭ টাকা পাবেন। ফলে প্রত্যেকের নগদ ওয়ালেটে জমা হবে মোট ২ হাজার ৫৩৭ টাকা, যা তিনি ক্যাশ-আউট না করেও প্রয়োজনে যেকোনো কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।
মোবাইল ওয়ালেটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বিতরণ বিষয়ে নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘কোভিডের এই সময়ে উন্নত বিশ্বও যেখানে বেশি ট্যাক্স দেয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বেশি সুবিধা দিয়েছে, সেখানে আমাদের প্রধানমন্ত্রী দরিদ্র এবং কাজ হারানো মানুষের পাশে দাঁড়াতেই সবচেয়ে বেশি উদ্যোগী। এখানেই আমাদের প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শীতা। তাছাড়া ডিজিটাল সেবার প্রতিও তার বাড়তি আগ্রহের কারণে এখন ঘরে বসেই মোবাইল ফোনে সরকারের অনুদান পেতে পারছেন দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষ।’
তানভীর এ মিশুক আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই তিনি নগদের সেবার প্রতি আস্থা রেখে আগের বারের মতো এবারও তার ঈদ উপহারের সবচেয়ে বড় অংশটি বিতরণের দায়িত্ব দিয়েছেন নগদকে। আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, সকল নিয়ম মেনে সবচেয়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে সরকারের দেয়া তালিকা অনুসারে সকল সুবিধাভোগীর কাছে নির্ধারিত সময়ের আগেই সরকারি সহায়তা পৌঁছে যাবে। নগদ সবসময়ই বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম মেনে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে, যে ধারাবাহিকতা এক্ষেত্রেও বজায় থাকবে।’
এর আগে গত বছরও ঈদের আগে কোভিডের কারণে কাজ হারানো ৫০ লাখ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে ১৭ লাখ পরিবারের কাছে ঈদ উপহার পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল নগদকে।
ইএআর/ইএ/এমএস