ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

গ্রাহক হয়রানির শীর্ষে সোনালী ব্যাংক

প্রকাশিত: ০১:৪১ পিএম, ২৯ নভেম্বর ২০১৫

ব্যাংকিং খাতে আর্থিক অনিয়ম ও হয়রানির বিষয়ে গ্রাহকদের অভিযোগে শীর্ষে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক লিমিটেড।

রোববার বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণের বার্ষিক প্রতিবেদন-২০১৫ প্রকাশকালে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনটির মোড়ক উন্মোচন করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে গ্রাহকরা আর্থিক অনিয়ম ও হয়রানির শিকার হয়ে ই-মেইল, ফ্যাক্স, ওয়েব সাইট ও ডাকযোগে মোট ৩ হাজার ৯৩০টি অভিযোগ করেছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৫৬টি অভিযোগ করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের বিরুদ্ধে। তবে অভিযোগগুলো শতভাগ নিষ্পত্তি করেছে ব্যাংকটি।

কিন্তু অনিয়ম, হয়রানির অভিযোগে শীর্ষে থাকা সত্ত্বেও ব্যাংকটির আকার ও সেবার সংখ্যা হিসেবে খুবেই কম মনে করছেন
সোনালী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা আবু জাফর।

তিনি বলেন, আমাদের ব্যাংকের শাখা সবচেয়ে বেশি। আমাদের সেবার সংখ্যাও বেশি। গত বছরের তুলনায় এবার গ্রাহক অভিযোগ হ্রাস পেয়েছে। আর যারা অভিযোগ করেছে তা নিষ্পত্তিও শতভাগ হয়েছে। আগামীতে গ্রাহক হয়রানি আরও কমে যাবে।  
    
গত অর্থবছরে গ্রাহকরা অনিয়ম ও হয়রানির শিকার হয়ে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ করেছে সোনালী ব্যাংক বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে যথাক্রমে বেসরকারি ব্র্যাক ব্যাংক ও রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংক। তাদের অভিযোগ সংখ্যা যথাক্রমে ১৭৫টি ও ১৪৯টি।

আর সবচেয়ে কম অভিযোগ এসেছে বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংকের বিরুদ্ধে। ব্যাংটির বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে ৫৬টি।  

প্রতিবেদন অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি অভিযোগ এসেছে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিরুদ্ধে। যা মোট অভিযোগের ৫৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ। রাষ্ট্রায়ত্ত বানিজ্যিক ব্যাংকের বিরুদ্ধে ২৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিরুদ্ধে ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

বিশেষায়িত ব্যাংকের বিরুদ্ধে ৩ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত মোট ১৪ হাজার ৯২০টি অভিযোগ এসেছে। অভিযোগগুলোর মধ্যে সবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিস ডিপার্টমেন্টের মহাব্যবস্থাপক এ কে এম আমজাত হোসেন। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী, কনজুমার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম রহমান এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের সভাপতি আলী রেজা ইফতেখারসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১১ সালের ১ এপ্রিল গঠন করে গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণ কেন্দ্র। পরে এর পরিধি বাড়তে থাকায় আরও বৃহৎ পরিসরে একে ঢেলে সাজিয়ে ২৫ জুলাই ২০১২ সালে গঠন করা হয় ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিস বিভাগ (এফআইসিএসডি)। ফ্যাক্স (০০৮৮-০২-৯৫৩০২৭৩),ই-মেইল([email protected]), এসএমএস এবং ১৬২৩৬ নম্বরে ডায়াল করে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কোনো অনিয়ম ও হয়রানির বিরুদ্ধে গ্রাহকরা অভিযোগ করতে পারেন। ব্যাংকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য এ সেবা চালু করা হয়েছে।

এসআই/একে/আরআইপি