ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

উচ্চ সুদহারের কারণে থমকে আছে প্রবৃদ্ধি

প্রকাশিত: ০৩:০৮ পিএম, ২৮ নভেম্বর ২০১৫

উচ্চ সুদহারের কারণে দেশে বিনিয়োগ স্থবিরতা কাটছে না আর বিনিয়োগ না বাড়ায় কারণে গত কয়েক বছর ধরে প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের ঘরে আটকে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কিমিটির সভাপতি ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।

শনিবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক আয়োজিত ব্যাংকিং মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের দেশের প্রবৃদ্ধি ৬ এর মধ্যে কয়েক বছর ধরে ঘুরপাক খাচ্ছে। আমরা এর থেকে বের হতে পারছি না। আর এ থেকে বের হতে হলে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। কিন্তু বিনিয়োগ বাড়ানো মূল সমস্যা এক, বিদ্যুৎ-জ্বালানিসহ অবকাঠামোর অভাব,  দ্বিতীয়ত ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদহার। প্রথমটি বিদ্যুৎ-জ্বালানির সমস্যা কিছুটা কাটিয়ে উঠলেও উচ্চ সুদহার কমছে না।

তিনি বলেন, বর্তমানে ব্যাংকগুলো ১৪ থেকে ১৭ শতাংশ সুদে ঋণ দিচ্ছে। একজন উদ্যোক্তার এই পরিমাণ সুদে ঋণ নিয়ে তা ফেরত দেওয়া অসম্ভব। ফলে উদ্যোক্তারা ঋণ নেওয়া কমিয়ে দিয়েছেন, দেশে বিনিয়োগও বাড়ছে না।

তাই কাঙ্খিত প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে ব্যাংকগুলোকে অবশ্যই সুদের হার কমাতে হবে। ব্যাংক অর্থ এই নয় যে আপনারা শুধু লাভ করবেন, মুনাফা করবেন। অপনারাই তো বলেন এটা সেবা দেওয়ার জায়গা। আপনারা বেশি করে সেবা দেন। যদি ১৫, ১৬ ১৭ শতাংশ সুদে ঋণ দেন তাহলে সেবা কিভাবে পাবে। মানুষ কিভাবে ঋণ নেবে। আর যারা ঋণ নেবে তারা ফেরত দিবে কিভাবে।

অতিরিক্ত স্প্রেডের সমালোচনা করে তিনি বলেন, স্প্রেড এত বেশি কেন? বিগত দিনে স্প্রেড ৬ শতাংশের ওপরে ছিল। এখন তা ৫ এ নেমে এসেছে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটা ৪ এর নীচে নামিয়ে আনা উচিত।

সুদহারসহ কিভাবে খরচ কমানোর বিষয়ে দ্রুত কাজ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কাজ করতে বলেন অর্থমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটর এ সভাপতি।

বক্তব্য শেষে মেলায় সেরা পারফরমেন্সকারী ব্যাংকগুলোকে পুরস্কার প্রধান করা হয়। ব্যাংকগুলো হচ্ছে: ব্যাংক এশিয়া, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, ব্র্যাক ব্যাংক এবং ওয়ান ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, বিডিবিএল, রুপালী, ইউসিবিএল, মিডল্যান্ড, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, এনআরবিসি ইত্যাদি।

সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মুহা. রাজী হাসানের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান, মেলার প্রধান সমন্বয়কারী বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. বিরূপাক্ষ পাল, বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান, পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীরা।  

এসআই/এসকেডি/আরআইপি