ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

এক বছরে ৯ হাজার অর্ডার ক্যাপাসিটি বেড়েছে চালডালের

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৫৭ পিএম, ২০ এপ্রিল ২০২১

গত বছরও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ঘোষণা করা হয় লকডাউনঅ সেসময় স্বাস্থ্য সুরুক্ষার কথা ভেবে অনেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনাকাটায় অনলাইন মাধ্যম বেছে নেন। গত বছরের বাধ্যবাধকতার অভ্যাস গ্রাহকদের মনে ই-কমার্সের প্রতি নতুন করে আস্থা তৈরি করে।

বছর ঘুরতেই ফের বেড়েছে করোনা, দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। এক বছরে অনলাইন শপগুলোও ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। ওয়্যার হাউজ বাড়ানোর পাশাপাশি বেড়েছে বেশি গ্রাহকের কাছে পণ্য পৌঁছানোর সক্ষমতা।

এক বছরে দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান চালডাল ডটকমের সক্ষমতা ও বেড়েছে। গত বছরের লকডাউনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে চলতি বছরের লকডাউনে সবোর্চ্চ সেবা দিতে প্রস্তুত চালডাল। এমনটাই জাগো নিউজকে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জিয়া আশরাফ।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের পর ২৬ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। সেময় চালডাল প্রতিদিন তিন হাজার অর্ডার পৌঁছে দিতে পারতো। এক বছরে সেই সক্ষমতা বেড়েছে ৯ হাজার। এখন প্রতিষ্ঠানটি ১২ হাজার অর্ডার পৌঁছে দিতে পারে।

এ প্রসঙ্গে জিয়া আশরাফ বলেন, ‘গত বছর করোনা শুরু হলে আমরা সক্ষমতা বাড়ানোর কাজ শুরু করি। আমরা আস্তে আস্তে প্রিপারেশন নেয়া শুরু করি। এখন ঢাকায় আমরা ১২ হাজার অর্ডার পর্যন্ত সার্ভ করতে পারি। এক বছরে আমাদের ক্যাপাসিটি অনেক বেড়েছে। চট্টগ্রামে আমারা প্রায় তিন হাজার সার্ভ করতে পারি। যশোরে আমাদের অপারেশন শুরু করেছি।’

অর্ডারের পাশাপাশি বেড়েছে চালডালের ওয়্যার হাউজের সংখ্যাও। আগে যেখানে চালডালের ওয়্যারহাউজ ছিল ছয়টি। এখন সে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১টিতে।

জিয়া আশরাফ বলেন, ‘আগে ঢাকাতে আমাদের ওয়্যার হাউজ ছিল ছয়টি। এখন ঢাকাতে ১৫টি, নারায়নগঞ্জে আছে দুটি। চট্টগ্রামে আছে দুটি, কিছুদিনের মধ্যেই আরও একটি ওয়্যার হাউজ চালু হবে। যশোরে একটি চালু আছে। এছাড়া স্টার্টআপ বাংলাদেশ থেকে সম্প্রতি আমরা ফান্ডিং পেয়েছি। আমাদের চিন্তা হলো সিলেট, রংপুরে আমরা চালডালের কার্যক্রম শুরু করবো।’

কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরুক্ষা নিশ্চিতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ওয়্যারহাউজগুলোতে যারা কাজ করেন তারা বাইরের কারো সংস্পর্শে আসতে পারেন না। বাইরে থেকে আসা প্রোডাক্টগুলো ভালভাবে পরিষ্কার করে ওয়্যারহাউজগুলোতে নেয়া হয়। এ ছাড়া যারা পণ্য ডেলিভারি করেন তারাও স্বাস্থ্য সুরুক্ষা মেনে চলেন।’

তিনি বলেন, ‘লকডাউনে যদি ঢাকার প্রায় সবার ঘরে পণ্য পৌঁছাতে হয় তাহলেও প্রায় এক লাখ গ্রোসারি অর্ডার আসতে পারে। যেটার সক্ষমতা আসলে আমাদের নেই। চালডালসহ অন্যান্য অনলাইন কোম্পানির এত অর্ডার আসলে সার্ভ করতে পারবো না।’

ঈদ-বৈশাখে ক্রেতাদের জন্য বিশেষ কোনো সুযোগ থাকছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা আসলে সবকিছু যৌক্তিক দামে দেয়ার চেষ্টা করি। ডিম, গরুর মাংসের দাম অন্য মার্কেটের তুলনায় কম রাখছি। ঈদ আসতে এখনো অনেক দেরি। আমরা অফার নিয়ে এই মূহূর্তে বেশি কিছু ভাবছি না। আমরা সব ক্যাম্পেইন বন্ধ রাখছি। কেননা যদি আমরা ক্যাম্পেইনের অতিরিক্ত অর্ডার পাই, তাহলে যাদের প্রয়োজনীয় পণ্যের অর্ডার আছে, সেটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।’

এসএম/ইএ/এমকেএইচ