ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

স্বাস্থ্যবিধি প্রয়োগে কঠোর নজরদারি বসুন্ধরা শপিং মল কর্তৃপক্ষের

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৫:৩১ পিএম, ১১ এপ্রিল ২০২১

করোনাভাইরাসের সংক্রমনরোধে স্বাস্থ্যবিধি প্রয়োগে কঠোর নজরদারি করছে রাজধানীর পান্থপথে অবস্থিত বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ।

শপিং মলটির আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে শুরু করে ৯ তলা পর্যন্ত প্রতিটি ফ্লোরে একাধিক নিরাপত্তারক্ষী দাঁড়িয়ে থেকে ক্রেতাদের সার্বক্ষনিক মাস্ক পরিধানের বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।
শপিং মলে আগত ক্রেতাদের সকলেই যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে তা স্মরণ করিয়ে দিতে মাইকিং চলছে। শপিং মলটির সকল লিফট বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রতিটি এসকেলেটর মেশিনের সামনে দাঁড়িয়ে নিরাপত্তাকর্মীরা ক্রেতাদেরকে এক সঙ্গে বেশি লোক উঠানামা করতে নিষেধ করছেন।

jagonews24

রোববার (১১ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টায় সরেজমিন পরিদর্শনকালে এ দৃশ্যে দেখা গেছে।
সরকারিভাবে ঘোষিত সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধের শেষ দিন চলছে আজ। এবার ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে সাতদিনের সর্বাত্নক লকডাউন শুরু হচ্ছে। করোনার সংক্রমন না হ্রাস পেলে এ লকডাউন আরও বৃদ্ধি পেতে পারে এমন আশঙ্কায় বসুন্ধরা শপিং মলে ক্রেতাদের বেশ ভিড় দেখা গেছে। বিভিন্ন ফ্লোরের দোকানে দোকানে দেখা গেছে বেচাকেনা। বেচাকেনাও হচ্ছে বেশ।

ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়কেই মাস্ক পরিধান করেই কথা বলতে দেখা যায়। তবে কেউ কেউ মাস্ক পরিধানের অভ্যাস না থাকার কারনে মাস্ক নামিয়ে রেখেছেন এমনটাও দেখা গেছে।

রাজধানীর কলাবাগানের বাসিন্দা আজহার হোসেন জানান, গাড়ি পার্কিং এ রেখে তিনি স্ত্রীকে নিয়ে লিফটের সামনে যেতেই কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষী তাকে বলেন, লিফটে ক্রেতাদের গাদাগাদিতে করোনার সংক্রমন বাড়তে পারে এমন আশঙ্কায় শপিং মলের সব লিফট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রেখেছে। নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে মার্কেটের সামনে দিয়ে প্রবেশের অনুরোধ জানালে তিনি হেটে এসে মার্কেটে প্রবেশ করেন।

jagonews24

এ উদ্যোগের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি প্রবেশগেটে ক্রেতাদের মুখে মাস্ক রয়েছে কিনা সে সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েই প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, প্রতিটি ফ্লোরে নিরাপত্তারক্ষীরা মাস্ক মুখে রাখা নিশ্চিত করতে নজরদারি করছেন। দোকানিরাও মাস্ক পরিধান করেই পণ্য বিক্রয় করছেন।’

মার্কেটের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, তারা নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থেই করোনার সংক্রমনরোধে স্বাস্থ্যবিধি নিজেরা মেনে চলছেন এবং ক্রেতাদেরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শপিং করতে উদ্ধুদ্ধ করছেন। সামনে ঈদ, এ অবস্থায় ১৪ এপ্রিল থেকে সাতদিনের কঠোর লকডাউন শুরু হচ্ছে। লকডাউন শেষ হলে যেন তারা আবার শপিং মল খোলার সুযোগ পান সেজন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন।

এমইউ/জেডএইচ/জিকেএস