ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

আর্থিক হিসাবে অনিয়ম করেছে ইনটেক

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১:১৫ এএম, ১০ এপ্রিল ২০২১

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইনটেক লিমিটেডে আর্থিক হিসাবে অনিয়ম করেছে বলে প্রমাণ পেয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার তদন্তে বেরিয়ে এসেছে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে কোম্পানিটি আর্থিক হিসাবে মুনাফা বাড়িয়ে দেখিয়েছে। এটি কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডারদের পাশাপাশি আর্থিক হিসাব বিবরণী সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারকে ভুলভাবে প্রভাবিত করেছে।

ইনটেক লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) কাছে সম্প্রতি কমিশন থেকে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনিয়মের কথা তুলে ধরা হয়েছে।

জানা গেছে, ইনটেক লিমিটেড কর্তৃপক্ষ ২০১৭-১৮ অর্থবছরের আর্থিক হিসাবে ডেফার্ড টেক্স ইনকাম হিসেবে ৩০ লাখ ৪৭ হাজার ৯৬৪ টাকা দেখিয়েছে। কিন্তু হিসাব মান অনুযায়ী এর বিস্তারিত আর্থিক হিসাবে তুলে ধরা হয়নি।

এছাড়া কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ফিশারিজ ইউনিট ও সফটওয়্যার ইউনিটের সব আয়কে করমুক্ত সুবিধার অন্তর্ভুক্ত বলে আর্থিক হিসাবে উল্লেখ করেছে। এ হিসেবে আন্তর্জাতিক হিসাব মান (আইএএস)-১২.৭ অনুযায়ী ওই করমুক্ত আয়ের সংশ্লিষ্ট সম্পদের ক্ষেত্রে কোনো ডেফার্ড টেক্স দেখানোর সুযোগ নেই।

তবে ইনটেক কর্তৃপক্ষ ফিশারিজ ইউনিট ও সফটওয়্যার সম্পদের উপর ভিত্তি করে আর্থিক হিসাবে ডেফার্ড টেক্স ইনকাম হিসেবে ৩০ লাখ ৪৭ হাজার ৯৬৪ টাকা দেখিয়েছে। যা প্রকৃতপক্ষে কোম্পানির নিট মুনাফায় প্রভাব ফেলেছে। এর মাধ্যমে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হিসেবে প্রায় ১১ পয়সা বেশি দেখানো হয়েছে।

এ বিষয়ে ইনটেক কর্তৃপক্ষ কমিশনে সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারেনি এবং কোম্পানির সংশ্লিষ্টরা এই অভিযোগ থেকে নিজেদেরকে নির্দোষ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছেন বলেও ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিএসইসি বলছে, অনিয়মের কারণে কোম্পানির সাধারণ বিনিয়োগকারীসহ স্টেকহোল্ডাররা প্রকৃত আর্থিক অবস্থার তথ্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

চিঠিতে জানানো হয়েছে, ইনটেক লিমিটেড একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি ও পরিচালকরা তার প্রতিনিধিত্বকারী, যারা সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান পরিপালনে ব্যর্থতার জন্য দায়ী। যা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯ এর সেকশন ২২ এর অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাদের ব্যর্থতার কারণে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়েছে, যা শেয়ারবাজারের উন্নয়নের পরিপন্থী।

এমএএস/ইএ/এএসএম