ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

ব্যাংকিং সেক্টরে দুষ্ট চক্র কাজ করছে : এনবিআর চেয়ারম্যান

প্রকাশিত: ০৭:১৫ এএম, ২৪ নভেম্বর ২০১৫

ব্যাংকিং সেক্টরে দুষ্ট চক্র কাজ করছে। এ কারণে এই সেক্টরে কিছু অনিয়ম হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে ব্যাংকিং মেলা বাংলাদেশ-২০১৫ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান এ কথা বলেন।


তিনি বলেন, রাজস্ব আহরণ হচ্ছে, এখানে গড়মিলও হচ্ছে। ব্যাংকিং সেক্টরেও কিছু অনিয়ম হচ্ছে। যার পেছনে কাজ করছে দুষ্টচক্র। আসুন, সবাই মিলে এই দুষ্ট চক্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই। আমরা সকলে এক সঙ্গে কাজ করলে ব্যাংকিং সেক্টরে রোগ বালাই দূর করতে পারবো।

বিনিয়োগ ও জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে অনুষ্ঠানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ড. এম আসলাম আলম বলেন, বিভিন্ন জায়গায় যে বিষয়ে আমাদের সমালোচনা শুনতে হয়। আমাদের প্রবৃদ্ধির যে হার তা দারিদ্র বিনাশে যথেষ্ট নয়। প্রবৃদ্ধির এ হারকে ৮ শতাংশে নিয়ে যেতে হবে।

বিনিয়োগ বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশে বিনিয়োগ আরো বাড়াতে হলে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে। এর জন্য আবার উদ্যোক্তাদের সিঙ্গেল ডিজিটে সুদ দেয়া প্রয়োজন, যা ব্যাংকগুলো এখনো দিতে পারছে না। এ নিয়ে আমরা যে কাজ করছি তা আরও জোরদার করতে হবে। এদিকে ব্যাংকিং খাতে প্রযুক্তির ছোয়া লাগলেও ইন্টারনেট ভিত্তিক ব্যাংকিং ও কার্ড সেবায় আমরা এখনো পিছিয়ে রয়েছি।

 

অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান মেলার উদ্বোধন করতে গিয়ে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তোলার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়নের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মেলার প্রধান সমন্বয়কারী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. বিরূপাক্ষ পাল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সময় অন্যদের মধে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী ও অন্যান্য কর্মকর্তারা।  
 
উল্লেখ্য, ৫ দিনব্যাপী মেলাটি চলবে আগামী ২৮শে নভেম্বর পর্যন্ত। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। যা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত।
 
মেলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ছাড়াও দেশি-বিদেশি ৫৬টি ব্যাংক, ৬টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ৭টি আর্থিক সেবা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিয়েছে। দর্শনার্থীদের জন্য মেলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক শিক্ষা, টাকা জাদুঘর, বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস (টাকা তৈরির মেশিন), বিভিন্ন প্রকাশনা, স্মারক মুদ্রা ও নোট ক্রয়, জনসাধারণের জন্য সেবা ও অভিযোগ কেন্দ্র খোলা রয়েছে।

এসআই/জেডএইচ/এমএস

আরও পড়ুন