সূচকের পতনে বেড়েছে লেনদেন
টানা তিন কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর মঙ্গলবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের কিছুটা পতন হয়েছে। তবে অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে। সূচকের ক্ষেত্রে বিপরীত ধারা থাকলেও দুই বাজারেই বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মধ্য দিয়ে। ফলে প্রথম ৫ মিনিটের লেনদেনেই ডিএসইর প্রধান সূচক ১৪ পয়েন্টে বেড়ে যায়।
তবে বাজারের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বেশি সময় স্থায়ী থাকেনি। একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দরপতনের কারণে ৫৫ মিনিটের লেনদেনেই ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ২০ পয়েন্ট কমে যায়।
এরপর পতন থেকে বেরিয়ে কিছু প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়লেও সূচকের পতন থেকে বের হতে পারেনি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১২ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৫৯১ পয়েন্টে নেমে গেছে।
প্রধান মূল্য সূচকের পাশাপাশি পতন হয়েছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচকের। আগের দিনের তুলনায় এই সূচকটি ২ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৬৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। তবে ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক দশমিক ৯২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৬৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
প্রধান সূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। দিনভর বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৮০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তারিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে পতনের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ১৫৭টি। আর ১২১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
মূল্য সূচকের পতন হলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৩ কোটি ৩৮ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৭২১ কোটি ৫১ টাকা। সে হিসাবে লেনেদেন বেড়েছে ৩২১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১৪২ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রবি’র ১২৯ কোটি ৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৮১ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লাফার্জহোলসিম।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সামিট পাওয়ার, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, জিবিবি পাওয়ার, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস এবং ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৪২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৬টির এবং ৬৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এমএএস/বিএ/এএসএম