ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

দেশে বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রভাব পড়েছে : গভর্নর

প্রকাশিত: ০৩:৩১ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০১৫

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতির সাথে আমরা খুব দ্রুত সংযুক্ত হচ্ছি। বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রভাব আমাদের দেশের অর্থনীতিতে পড়ছে। এ অবস্থায় দেশের অর্থনৈতিক বিভাগগুলোকে খুব বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।’

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। ঢাবির অর্থনীতি বিভাগ কর্তৃক পেশাজীবীদের জন্যে অর্থনীতি মাস্টার্স প্রোগ্রামের (MEcon) কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।

বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাজমা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, ড. বরকত-ই-খুদা প্রমুখ।
 
আতিউর রহমান বলেন, ‘বিশ্বমন্দা সত্ত্বেও আমাদের দেশের অর্থনীতি বর্তমানে যে কোন সময়ের তুলনায় স্থিতিশীল। প্রতি দশকেই আমাদের দেশের প্রবৃদ্ধির হার বাড়ছে। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি যে হারে বাড়ছে আমাদের দেশে কিন্তু সে হারে বাড়ছে না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যদি উদ্ভাবনের বীজ রোপন করতে না পারি, সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক অর্থনীতির সাথে যদি সম্পৃক্ত হতে না পারি, দক্ষতা যদি না বাড়ে, প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্যতা যদি না বাড়ে তাহলে আমরা যা আশা করি তা কোনো দিন পূরণ হবে না।’
 
এসময় বাংলাদেশের সকল অজর্নের প্রাণ কেন্দ্র ঢাবি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের এ পর্যন্ত যা কিছু অর্জন, তার প্রাণকেন্দ্র হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশ বেশি উপকৃত হয়েছে।’

তিনি মাস্টার্স প্রোগ্রামের এ প্রশিক্ষণকে বিশ্বমানের উল্লেখ করে তার জন্যে অর্থনীতি বিভাগকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘এখানে অনেক ধরণের গবেষণা হয়েছে এবং রেমিটেন্স- ব্যাংকিং নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে যা শিক্ষার্থীদের অনেক কাজে দেবে।’
 
অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, `একটি দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে তাদের মানবসম্পদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেই মানবসম্পদ তৈরির কাজটিই করে যাচ্ছে। এই কোর্সটি তরুণদের প্রশিক্ষিত করে দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।`

এমএইচ/এসকেডি/পিআর