দেশে বিনিয়োগের খরা কাটাতে হবে : গভর্নর
২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে সরকারি ও বেসরকারি খাতে চলমান বিনিয়োগের খরা কাটিয়ে তুলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কনফারেন্স হলে ‘ফিন্যান্সিয়াল সেক্টর সাপোর্ট প্রজেক্ট’ এর আওতায় দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন তহবিল ব্যবহারে চার ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
গভর্নর বলেন, দেশের বিনিয়োগে কিছুটা খরা চলছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের দাতা সংস্থাগুলো সরকারি ও বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন। বর্তমানে জিডিপির ২৮ থেকে ২৯ শতাংশ বিনিয়োগ রয়েছে। মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে বিনিয়োগ ৩৮ শতাংশে উন্নতি করতে হবে। বিশেষ করে উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি।
আতিউর রহমান বলেন, উচ্চ সুদের হার নিয়ে ব্যবসায়ীদের একটি অভিযোগ রয়েছে। উচ্চ সুদের কারণে উৎপাদনশীল খাতে সক্ষমতার আশানুরূপ ফল পাচ্ছে না। এ প্রতিকূলতা দূর করার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ‘ফিন্যান্সিয়াল সেক্টর সাপোর্ট প্রজেক্ট’ এর আওতায় প্রায় ৩০ কোটি ডলারের তহবিল গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ তহবিল থেকে উৎপাদনশীল খাতে ৫ থেকে ১০ বছর মেয়াদী স্বল্প সুদে ঋণ দেয়া হবে। এ তহবিল থেকে ব্যবসায়ীরা মাত্র ৬ থেকে ৭ শতাংশ সুদে বৈদেশিক অর্থে এই ঋণ পাবে।
বৈদেশিক মুদ্রায় দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন তহবিল পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান (যারা ক্যামেলস রেটিংয়ে এগিয়ে) তাদেরকে বাছাই করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে প্রথম পর্যায়ে চারটি ব্যাংকের সঙ্গে অংশগ্রহণমূলক চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। ব্যাংকগুলো হলো- মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক ও আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লি.। পরিবেশ বান্ধব সবুজঅর্থায়নে এ ঋণ প্রদানে বিশেষ অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান জানান গভর্নর।
গভর্নরের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে চার ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীরা স্ব স্ব ব্যাংকের পক্ষে চুক্তি সই করেন। এসময় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে চুক্তি সই করেন নির্বাহী পরিচালক আহসান উল্লাহ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী, নাজনীন সুলতানাসহ প্রকল্পের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যরা।
এসআই/জেডএইচ/আরআইপি