ফার্স্ট নাইট উদযাপনের মধ্য দিয়ে দ্বার খুললো লা মেরিডিয়ানের

ফার্স্ট নাইট উদযাপনের মাধ্যমে ঢাকায় দ্বার খুললো অভিজাত হোটেল লা মেরিডিয়ানের। লা মেরিডিয়ান স্টারউড হোটেলস অ্যান্ড রিসোর্টস ওয়ার্ল্ড ওয়াইড, ইনকর্পোরেশন (এনওয়াইএসই: এইচওটি) এর একটি প্রতিষ্ঠান। রোববার ঢাকায় ফার্স্ট নাইট উদযাপন করলো হোটেলটি।


৫০০ এর বেশি  রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ দেশীয় শিল্প ও সংস্কৃতিমিশ্রিত ফ্রেঞ্চ ব্র্যান্ডটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী  রাশেদ খান মেনন।


স্টারউড হোটেলস অ্যান্ড রিসোর্টস ওয়ার্ল্ড ওয়াইড-এর সাউথ এশিয়ার রিজিওনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর দিলীপ পুরি বলেন, ফার্স্ট নাইট উদযাপনের মধ্য দিয়ে ঢাকায় লা মেরিডিয়ানের সর্বশেষ শাখা উদ্বোধন করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত, যা এই কর্মব্যস্ত শহরে সমসাময়িক সংস্কৃতির প্রতি জীবনের মাঝে আবেগ তৈরি করবে। লা মেরিডিয়ান ঢাকার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি বিভিন্ন পরিবেশনার মধ্য দিয়ে একটি সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে, যা অতিথিদের মাঝে আগ্রহ, উৎসাহ এবং উদ্দীপনামূলক আলোচনার সৃষ্টি করে।


লা মেরিডিয়ানের প্রাণকেন্দ্রের নতুন ও রূপায়িত ঐতিহ্যসমৃদ্ধ লবিতে অতিথিদেরকে স্বাগত জানানো হয়। এই লবিটিকে বিভিন্ন শিল্প ও সংস্কৃতি দিয়ে সাজানো হয়েছে। এখানে আছে রংহীন একটি কাঠের আর্টওয়ার্ক যা ঢাকা শহরের ক্রস সেকশনগুলোর অ্যারিয়াল ভিউ প্রদর্শন করছে। এছাড়াও এই আর্টওয়ার্কটি হোটেলটির নির্মীয়মান সময়কেও ধরে রেখেছে।


লা মেরিডিয়ান ঢাকার স্বত্ত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আমিন মোহাম্মদ বলেন, “দেশের প্রথম লা মেরিডিয়ান হোটেল তৈরির মধ্য দিয়ে স্টারউড হোটেলস অ্যান্ড রিসোর্টস-এর অংশীদার হতে পেরে আমরা গর্বিত। স্টারউড মানেই হচ্ছে আকর্ষণীয় পেশাদারি আতিথেয়তা আর লা মেরিডিয়ান হচ্ছে এমন একটি ব্র্যান্ড যা দেশীয় আতিথেয়তার মাধ্যমে অতিথিদের চাহিদা অনুযায়ী একটি চমৎকার অভিজ্ঞতা দেয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই দুইয়ের চমৎকার সমন্বয়টি খুবই উপযুক্ত, বিশেষ করে যখন দেশটি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।”


হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার আশওয়ানী নায়ার, যিনি বিগত দুই বছর ধরে ঢাকায় অবস্থান করছেন, আস্থার সঙ্গে বলেন, “আমি ঢাকাকে পরিবর্তিত হতে দেখছি। সংস্কৃতি সমৃদ্ধ এই শহরটি ধীরে ধীরে আধুনিকতাকে বরণ করে নিচ্ছে। হোটেলটি শিল্পকেন্দ্রিক আধুনিক ডিজাইন, নতুন নতুন খাবার ও দেশীয় সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে যা ব্র্যান্ড হিসেবে লা মেরিডিয়ানের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এ সব বৈশিষ্ট্য গ্রাহকদেরকে চমৎকার ও স্মরণীয় অভিজ্ঞতা দেয় ও অতিথিদের আস্থাকে আরো দৃঢ় করে। লা মেরিডিয়ান একই সময়ে একজন গ্রাহক এই নীতিতে বিশ্বাস করে।”


উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি ১৬ তালায় অবস্থিত রুফটপ বলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। অথিতিরা অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় ফোক ব্যান্ড জলের গান (জলের গান বাংলাদেশি সমসাময়িক গ্রাম্যগানের রূপায়নের জন্য পরিচিত) এর পারফর্মেন্স সরাসরি উপভোগ করেন। এছাড়া ও অনুষ্ঠানের অন্যতম অংশ ছিল এর গৌরমেট বুফে যেখানে হোটেলটির ছয়টি ডাইনিংয়ের প্রধান ডিশগুলো পরিবেশন করা হয়।


নতুন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র
হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরের দুই কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত লা মেরিডিয়ান ঢাকায় আছে ৩০৪টি গেস্টরুম ও স্যুটস। ফ্রেঞ্চ ব্র্যান্ডটির বিভিন্ন সুবিধা হোটেলটিকে অতিথিদের জন্য চমৎকার একটি গন্তব্যে পরিণত করেছে। এখানে অতিথিরা প্রতিটি মুহূর্তকে নতুনভাবে আবিষ্কার করবেন। এছাড়াও এখানে আছে অতিথি চাহিদানুযায়ী  আন্তর্জাতিক ও দেশীয় খাবার।


লেটেস্ট রেসিপি, এতে আছে, লাইভ-কিচেন সমৃদ্ধ একটি ডাইনিং রেস্টুরেন্ট যেখানে সারাদিনই আন্তর্জাতিক ও দেশীয় খাবারগুলো পাওয়া যাবে। ফেভোলা, স্পেশাল ইটালিয়ান রেস্টুরেন্ট যেখানে ওলেয়ার মতো বেশকিছু বিচিত্র স্বাদের ইতালিয়ান খাবার পাওয়া যাবে। ফিফটিন এভাব, চমৎকার ভিউ সমৃদ্ধ একটি আধুনিক লাউঞ্জ বার।


দিনের বেলায় সাধারণ কফিশপ হলেও ল্যাটিচিউড ২৩ রাতের বেলায় একটি চমৎকার সময় কাটানোর স্থান হয়ে ওঠে। স্পা এসএম হচ্ছে হোটেলটির অন্যতম একটি প্রধান আকর্ষণ। এছাড়াও ফিটনেস সেন্টারের পাশাপাশি হোটেলটির ১৬তলায় আছে একটি পুল।


এসএ/বিএ