ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

ডিসিসিআই বিজনেস কনক্লেভের উদ্বোধন করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:৫৮ পিএম, ০৫ জানুয়ারি ২০২১

দেশে প্রথমবারের মতো সর্ববৃহৎ অনলাইনভিত্তিক বিটুবি সম্মেলন ‘ডিসিসিআই বিজনেস কনক্লেভ-২০২১’ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন প্রধান অতিথি হিসেবে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। কনক্লেভে বাংলাদেশসহ ১০টি দেশের ২২৭টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ‘ডিসিসিআই বিজনসে কনক্লেভ ২০২১’ দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। ডিসিসিআই’র এই উদ্যোগ বৈশ্বিক ব্যবসায়িক সমাজে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের কর্মস্পৃহা ও উদ্যোমের বহিঃপ্রকাশ। এ ধরনের উদ্যোগ দেশের অর্থনীতির উত্তরণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, মহামারির মধ্যেও আমাদের পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়া সচল ছিল। বর্তমান সরকার দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকার মধ্যে সমন্বয়ের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনকে প্রাধান্য দিয়ে আসছে।

momen01

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ‘ইকোনোমিক ডিপ্লোমেসি’ নীতি গ্রহণ করেছে। যেখানে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বিশ্ববাজারে দেশীয় উদ্যোক্তাদের অভিগম্যতা বৃদ্ধি, দেশীয় পণ্যের রফতানির বাজার সম্প্রসারণ, বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং তথ্য-প্রযুক্তির আদান-প্রদান বাড়ানো প্রভৃতি বিষয় প্রাধান্য পাবে।

স্বাগত বক্তৃতায় ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বিদ্যমান পুনরুদ্ধার কার্যক্রমের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাংলাদেশও শিল্পখাতে পণ্য উৎপাদন ও সেবা প্রদানের প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে নানাবিধ উদ্যোগ অব্যাহত রেখেছে। তিনি ‘ডিসিসিআই বিজনেস কনক্লেভ ২০২১’-এ অংশগ্রহণকারী বিদেশি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের অর্থনীতির পুনরুদ্ধার ও উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, আশা করি- আজকের এ আয়োজন অংশগ্রহণকারী দেশসমূহের সাথে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করবে এবং একই সাথে দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনাকে বহুগুণে বৃদ্ধি করবে।

ইএআর/এএএইচ/এমএস