ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

কমছে সবজির দাম

প্রকাশিত: ১০:১৫ এএম, ১৩ নভেম্বর ২০১৫

রাজধানীর কাঁচা বাজারগুলোতে সরবরাহ বাড়তে থাকায় শীতকালীন সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। শুক্রবার রাজধানীর রামপুরা, শান্তিনগর, মালিবাগ এবং কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে কিছু সবজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

কারওয়ান বাজারে পাইকারি কাঁচাপণ্যের প্রতিষ্ঠান শান্তা বাণিজ্যালয়ের কর্মকর্তা শামিম আহমেদ জানান, শীতের সবজির সরবরাহ বেড়েছ প্রচুর। আগামী কয়েক সপ্তাহে সবজির দাম আরো কমে যাবে।

তিনি জানান, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিনই শতাধিক সবজির ট্রাক বাজারে ঢুকছে। ফলে দাম কমেছে ক্রেতাদের প্রত্যাশা মত।

রামপুরা কাচাঁ বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা রাসেল মিয়া জানান, চাল কুমড়া, মুলা, বাঁধাকপি, চিচিংগা, শসা, মিষ্টি কুমড়া, পেঁপে ও পটল ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

৪০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে ফুলকপি। বরবটি পাওয়া যাচ্ছে ৪০ টাকায়, করলা ৫০ টাকা ও বেগুন ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে বলে জানান রাসেল।

শাকও বিক্রি হচ্ছে নাগালের মধ্যে; প্রতি আঁটি মুলা শাক মিলছে ১০ টাকা ও লাল শাক ১৫ টাকায়।

প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ১০০ দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে শান্তিনগর বাজারে। তবে কমেনি টমেটোর দাম, বরাবরের মতই ১০০ টাকা কেজিতে মিলছে এই সবজি।

শান্তিনগরের খুচরা সবজি বিক্রেতা রহিম মিয়া জানান, শীতের মাঝামাঝিতে দেশি টমেটো বাজারে এলে টমেটোর দাম কমে যাবে।

এদিকে, প্রতিকেজি রুই মিলছে ১৮০ থেকে ২২০ টাকার মধ্যে। ইলিশ হালি মিলছে ৮০০-১ হাজার টাকায়। তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে।

অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজের দাম। ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকায় বিক্রি হলেও বড় আকৃতির চায়না পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়।

ব্রয়লার মুরগি পাওয়া যাচ্ছে কেজি ১৪৫ টাকায়। অপরিবর্তিত রয়েছে গরুর মাংসের দাম প্রতিকেজি মাংস বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকায়।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন ধরনের চালের দাম আবার নতুন করে কেজিতে বেড়েছে ১ থেকে ২ টাকা করে।  খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি চড়া দামের সুফল ভোগ করছে মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়া ও বিক্রেতারা।

চালের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে মালিবাগ বাজারের খুচরা চাল ব্যবসায়ী আতাউর রহমান জানান, ‘আমরা পাইকারদের কাছ থেকে এ সপ্তাহে প্রতি বস্তাতে ১০০ টাকা বেশি দামে ক্রয় করেছি। যার কারণে আমাদেরও বেশি দামে বিক্রয় করতে হয়।’ তবে আসা করছি আগামী সপ্তাহে দাম কমে যাবে।

কারওয়ান বাজারের চালের বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা, মিনিকেট ৫২ থেকে ৫৩ টাকা, বি আর (২৮) ৪৮ থেকে ৪৯ টাকা, পাড়িজাত ৪২ থেকে ৪৩ টাকা, নাজিরশাইল ৪৭ থেকে ৪৮ টাকা, গুটি স্বর্ণা ৩৬ থেকে ৩৭ টাকা, লাল স্বর্ণা ৩৮ টাকা, হাছকি ৩৬ থেকে ৩৭ টাকা ও লতা ৪৩ থেকে ৪৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে প্রতি কেজি খোলা আটা ৩৪ থেকে ৩৫ টাকা, ২ কেজি ওজনের প্যাকেটজাত আটা ৭০ থেকে ৭২ টাকা, ময়দা ৪২ থেকে ৪৪ টাকা, ২ কেজি ওজনের প্যাকেটজাত ময়দা ৮৮ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ডালের মধ্যে প্রতি কেজি দেশি মসুর ডাল ১০৫ টাকা, ক্যাঙ্গারো ১১০ থেকে ১১৫ টাকা ও মোটা দানা ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ভোজ্যতেলের মধ্যে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১১০ থেকে ১১৫ টাকা, ৫ লিটার বোতল ৫৭৫ টাকা, পাম ১০৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বিভিন্ন ধরণের মসলার মধ্যে দেশি আদা প্রতি কেজি ৯৫ থেকে ১০০ টাকা, চায়না আদা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, রসুন ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, শুকনা মরিচ ২০০ থেকে ২৩০ টাকা এবং হলুদ ২৯০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এএম/এসকেডি/এমএস