হয়রানির শিকার হলে ভ্যাট-ট্যাক্স দেবেন না ব্যবসায়ীরা
‘আমরা স্বাভাবিকভাবে ভ্যাট-ট্যাক্স দিতে চাই তবে হয়রানির শিকার করে আর হুমকি-ধামকি দিলে ভ্যাট-ট্যাক্স পাবেন না।’ সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও এফবিবিসিআই পার্টনারশিপ ডায়লগ অনু্ষ্ঠানে রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানকে উদ্দেশ্য করে এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা বলেন, সারাদেশে ভ্যাট আদায়ের নামে রেট অ্যালার্ট দিয়ে ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা ট্যাক্স দিতে চাই কিন্তু হয়রানির শিকার হতে চাই না। আমাদের হয়রানি করবেন না।
তারা বলেন, বিভিন্ন সময় ভ্যাট আদায়ের সময় ব্যবসায়ীরা কিছু বলতে গেলে এনবিআর কর্মকর্তারা খারাপ আচরণ করেন। বলেন, আমাদেরকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেয়া হয়েছে বেশি কথা বললে গ্রেফতার করবো।
তাদের অভিযোগ- যারা নিয়মিত ভ্যাট-ট্যাক্স দেন তাদেরকেই এনবিআর কর্মকর্তারা হয়রানি করেন। আর যারা ট্যাক্স দেয় না তারা হয়রানির শিকার হয় না। কারণ তাদের সঙ্গে ওই সব কর্মকর্তাদের মাসিক আঁতাত রয়েছে। এসব বৈষম্যমূলক আচরণ বন্ধ না করলে আন্দোলনে নামার হুমকি দেন ব্যবসায়ীরা।
এ সময় ট্যাক্সের পরিমাণ না বাড়িয়ে রাজস্ব আদায়ের পরিধি বাড়ানোর প্রস্তাব দেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিজিএমইএ প্রেসিডেন্ট সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমরা সব সময়ই ট্যাক্স দিতে চাই। কিন্তু হয়রানির শিকার হতে চাই না। অনেক ক্ষেত্রে অসামঞ্জস্যপূর্ণ ট্যাক্সনীতি রয়েছে। তা আমরা দেখতে চাই না। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে ট্যাক্স নির্ধারণের আহ্বান জানান তিনি।
এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ এর সভাপতিত্বে ডায়লগ অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান, এফবিসিসিআইয়ের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট সফিউল ইসলাম, এনবিআরের রাজস্ব নীতির ও ভ্যাট নীতি বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা ছাড়াও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসআই/এসএইচএস/আরআইপি