ব্যবসায়ীদের চাহিদা মোতাবেক সহযোগিতা দিচ্ছে সরকার
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, অর্থনীতি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। বিশ্বের বিভিন্নসংস্থা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে সন্তোশ প্রকাশ করছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যবসায়ীদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিগত নির্বাচনের আগে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের যে ক্ষতি হয়েছে, ব্যবসায়ীরা তা দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করে কাটিয়ে উঠে স্বাভাবিক গতিতে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি অনেক উজ্জল হয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে এগিয়ে এসেছে। বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে। সে কারনে দেশী-বিদেশী শিল্প উদ্যোক্তারা শিল্প স্থাপনে এগিয়ে এসেছে। বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার ব্যবসা বান্ধ্যব হবার কারনে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারিত হচ্ছে। সরকার ব্যবসায়ীদের চাহিদা মোতাবেক সবধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
বুধবার ঢাকায় রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরোর সম্মেলন কক্ষে ব্যবসা-বাণিজ্য উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে বাণিজ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক গঠিত বাণিজ্য সহায়ক পরামর্শক কমিটির দ্বিতীয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, রানাপ্লাজা দুর্ঘটনার পর সরকার সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় দক্ষতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে। এতে দেশী-বিদেশী সংশ্লিষ্ট সকলেই সন্তুষ্ট। এরপর আর কোন দুর্ঘটনা বাংলাদেশে ঘটেনি। বাংলাদেশের তৈরী পোশাক ক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক সকলশর্ত পূরণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ফোরামে এসকল তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তারা বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপে সন্তোশ প্রকাশ করেছে। সবমিলিয়ে বাংলদেশ অর্থনৈতিক ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এবং রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, সরকার ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করে সমস্য চিহ্নিত করে তা সমাধান করে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা যাতে কোন ধরনের হয়রানির শ্বিকার না হয়, সেবিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ব্যবসায়ীদের শিল্প স্থাপনের জন্য সর্বস্তরে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশের ভোলা জেলায় বিপুল পরিমান গ্যাস আবিষ্কৃত হয়েছে। সেখানে দেশী-বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলো শিল্প কারখানা স্থাপনের জন্য এগিয়ে এসেছে। অদুর ভবিষ্যতে ভোলা শিল্প নগরীতে পরিনত হবে।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ে সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, এফবিসিসিআই-এর সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, বিজিএমই-এর সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম, বিকেএমই-এর সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান এমপি, ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডষ্ট্রিজ এর সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান খান, বাংলাদেশ উইম্যান চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডষ্ট্রি-এর প্রেসিডেন্ট সঙ্গীতা আহমেদ এবং ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি মাহবুবুর রহমান।