ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

দ্বিমুখী বিনিয়োগে আগ্রহী বাংলাদেশ-নাইজেরিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:২২ পিএম, ০১ অক্টোবর ২০২০

বাংলাদেশ ও নাইজেরিয়া দ্বিমুখী বিনিয়োগ ও বাজারে প্রবেশ সুবিধা গ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

নাইজেরিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব চেম্বারস অব কমার্স, ইন্ডাস্ট্রি, মাইনস অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচারের (এনএসিসিআইএমএ) সঙ্গে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরকালে এ আগ্রহর কথা জানান দুই দেশের ব্যবসায়ীরা।

বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি এফবিসিসিআইয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ক্লাউড সম্মেলনে বেসরকারি খাতের সংস্থা দুটি চুক্তি স্বাক্ষরের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধাও তুলে ধরা হয়।

বেসরকারি খাতের সংস্থাটির উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাইল্যাটের্যাল ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটিজ ইন দ্য অনগোয়িং গ্লোব্যাল প্যানডেমিক অ্যান্ড বিয়ন্ড’ শীর্ষক সম্মেলনে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, এনএসিসিআইএমএ’র জাতীয় সভাপতি হাজিয়া সারাতু আইয়া-আলিয়ু, নাইজেরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক আয়েশা দেওয়া, এনএসিসিএমএর’র জাতীয় সহ সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার জনি ইব্রাহীম, এফবিসিসিআইয়ের উপদেষ্টা মো. আবদুল হান্নান এবং এনএসিসিআইএমএ’র মহাপরিচালক ও রাষ্ট্রদূত আইওলা ওলুকানি অংশ নেন।

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের কথা তুলে ধরে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ-নাইজেরিয়া মধ্যে জাতিসংঘ, ওআইসিসি, কমনওয়েলথ, ডি-৮ এবং ডি-৮ সিসিআইতে সম্পৃক্ততার মাধ্যমে দীর্ঘ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া, দ্বিপাক্ষিক সম্ভাবনা অনেকাংশেই অগ্রসরমান। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৪৪.৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য হয়েছে। বাণিজ্যের উন্নতি ঘটাতে জ্বালানি, তেল ও পেট্রোলিয়াম পণ্য, কোকো উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ, এফএমসিজি, হোম অ্যাপ্লায়েন্স, ফার্মাসিউটিক্যালস ইত্যাদি খাতে দ্বিপাক্ষিক ভ্যালু চেইন উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে।’

jagonews24

সরকারের প্রতিক্রিয়ার পরিপূরক হিসাবে এফবিসিসিআইয়ের সক্রিয় অ্যাডভোকেসির বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা যখন স্বাভাবিকতার দিকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছি, তখন অর্থনীতির বিষয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী। কেননা জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি, রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি এবং বৈদেশিক রিজার্ভ প্রবৃদ্ধি নিয়ে অর্থনীতি শক্তিশালীভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এফবিসিসিআই তার সক্রিয় অ্যাডভোকেসি এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক স্টেকহোল্ডারদের পরামর্শ গ্রহণের মাধ্যমে বিস্তৃত পরিসরে আর্থিক ও অ-আর্থিক ব্যবস্থাসহ আর্থ-সামাজিক এজেন্ডা নিয়ে আগামী তিন বছরের জন্য একটি শক্তিশালী রোডম্যাপ প্রণয়নে সক্ষম হয়েছে।’

বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক উত্পাদন সুবিধা এবং নাইজেরিয়ার কাঁচামাল ও দক্ষতাকে এক করে দুটি দেশ যৌথভাবে বিকল্প বিনিয়োগের খাত আবিষ্কার করতে পারে। প্রযুক্তি এবং জ্ঞান স্থানান্তরের মাধ্যমে নাইজেরিয়ার বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের উৎপাদন প্রতিযোগিতামূলক বাজারে এগিয়ে রাখাসহ দেশীয় ভোক্তা বাজার, আঞ্চলিক বাজারে প্রবেশ, বিনাশুল্কে ভারত, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াতে বাণিজ্য সুবিধা এবং এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট সুবিধাসহ আরও অনেক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারে।

হাজিয়া সারাতু আইয়া-আলিয়ু বলেন, আজকের অনুষ্ঠানটি বেসরকারি খাত এবং ব্যবসা-বাণিজ্য বিশেষত আইসিটি, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং কৃষিক্ষেত্রে নাইজেরিয়ান–বাংলাদেশের সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রমাণ। ডি-৮ এর চেম্বার সদস্য হিসাবে, এটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ এবং এটি ডি-৮ এর উদ্যম, লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যকে প্রতিফলিত করে। দুই চেম্বারের এ সমঝোতা চুক্তি এতে পূর্ণতা এনে দেবে।’

এফবিসিসিআইয়ের উপদেষ্টা আবদুল হান্নান বলেন, ‘আমাদের সদস্যদের এনএসিসিএমএ’র সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সক্ষমতা ও আগ্রহ রয়েছে। আশা করছি সমঝোতা চুক্তি কার্যকরের মাধ্যমে এ বন্ধন আরও মজবুত হবে।’

এসআই/এএইচ/এমকেএইচ