ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

রি-ব্র্যান্ডিংয়ে পটু তিনি

প্রকাশিত: ০৩:৫৮ পিএম, ০৩ নভেম্বর ২০১৫

তিনি যে প্রতিষ্ঠানে যান, সে প্রতিষ্ঠানকেই নতুন করে ব্র্যান্ডিং করান। এটিই যেন তার পেশাগত চমক। তাই বলা যায়, রি-ব্র্যান্ডিংয়ে পটু তিনি। ব্যাংকিং খাতে এমন ব্যক্তি দ্বিতীয়টি নেই বললেই চলে। তিনি মুহাম্মদ আলী। বর্তমানে বেসরকারি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের (ইউসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী হিসেবে রয়েছেন।

সূত্র বলছে, ২০১২ সালের নভেম্বরে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেন মুহাম্মদ আলী। চলতি বছর ইউসিবি নতুন করে ব্র্যান্ডিং করেছে। পরিবর্তন করা হয়েছে এর লোগোও।

সূত্রগুলো বলছে, মুহাম্মদ আলীর ব্যাংকিং ক্যারিয়ার প্রায় ৩৪ বছরের। প্রধান নির্বাহী হিসেবে তিনি শাহজালাল ইসলামি ব্যাংক লিমিটেডকে প্রথম রি-ব্র্যান্ডিং করেন। এটি ছিলো ২০০৯ ও ২০১০ সালে। রি-ব্র্যান্ডিংয়ের কারণে ব্যাংকটি কিছুটা গতি পেলেও সন্তোষজনক ছিলো না। মুহাম্মদ আলী রি-ব্র্যান্ডিং করে শাহজালাল ইসলামি ব্যাংকে যে পর্যায়ে নিয়ে যাবেন বলে পর্ষদকে বুঝিয়ে ছিলেন, সেটি চূড়ান্তভাবে করতে পারেননি। তাই শেষ পর্যন্ত শাহজালাল ইসলামি ব্যাংক ছাড়তে হয় তাকে।

ব্যাংকটির সূত্র বলছে, রি-ব্র্যান্ডিং করার কারণে ব্যাংকের নানা খাতে প্রচুর ব্যয় বেড়ে যায়। বাড়িয়ে দেয়া হয় বেতন ভাতার কাঠামোও। এছাড়া প্রচার প্রচারণাতেও অনেক অর্থ খরচ হয়। কিন্তু লাভ ততোটা হয়নি। তাই পর্ষদ তাকে আর পুনরায় নিয়োগ দেননি।

এরপর তিনি যোগ দেন সোস্যাল ইসলামি ব্যাংক লিমিটেডে। যোগদানের কিছু দিনের মাথায় পর্ষদকে তিনি বুঝান, রি-ব্র্যান্ডিং করতে হবে। পর্ষদ তার লোভনীয় প্রস্তাবে সাড়াও দেন। শাহজালাল ইসলামি ব্যাংক কিছুটা সুফলতা পেলেও সোস্যাল ইসলামি ব্যাংক ক্ষতিগ্রস্থ হয় মুহাম্মদ আলীর চমকে।

রি-ব্র্যান্ডিংয়ের চমক দিয়ে ব্যাংকিং খাতে মুহাম্মদ আলী নিজেকে ব্যয় বহুল প্রধান নির্বাহীদের কাতারে নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে মুহাম্মদ আলীকে ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি। অফিসে ফোন করলে তার দফতর থেকে জানানো হয় তিনি ব্যস্ত আছেন। পরে ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগে যোগাযোগ করলে জানানো হয়, এমডি ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন নিয়ে টানা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তাই তিনি এ মুহুর্তে কথা বলতে পারবেন না।

জানা গেছে, রাষ্ট্রখাতের সোনালী ব্যাংক দিয়ে পেশাগত জীবন শুরু করেন মুহাম্মদ আলী।

এসএ/একে/আরআইপি