খরচ কমাতে খোলাবাজার থেকে এলএনজি কিনবে সরকার
এতদিন কয়েকটি দেশের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় এলএনজি (তরলিকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি করত সরকার। দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির মধ্যমে আমদানি করায় এক্ষেত্রে দরকষাকষির তেমন সুযোগ ছিল না। তবে এবার প্রথমবারের মতো স্পট মার্কেট তথা খোলাবাজার থেকে এলএনজি আমদানির একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
ফলে সাশ্রয়ী মূল্যে এলএনজি আমদানি সম্ভব হবে বলে মনে করছে সরকার। ০২ সেপ্টেম্বর জুম অ্যাপের মাধ্যমে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আওতায় পেট্রোবাংলা সিঙ্গাপুরের ভাইটোল এশিয়া পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের কাছ থেকে ৩৪ লাখ ৪৯ হাজার ২০০ এমএমবিটিই এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে খরচ হবে ১৩২ কোটি ৯৩ লাখ ৪০ হাজার ৯৭৮ টাকা।
এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা এবারই প্রথম স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কিনছি। এর আগে আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লংটার্ম চুক্তির মাধ্যমে কিনতাম। কিন্তু এবারই প্রথম স্পট মার্কেটে গেলাম। এটা নতুন একটা ইউন্ডো আমাদের জন্য খোলা হলো। আমি মনে করি এখান থেকে সব সময় কম্পিটিটিভ প্রাইসে (প্রতিযোগিতামূলক মূল্য) এলএনজি ক্রয় করতে পারব।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশের ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা পূরণের জন্য সরকার এলএনজি আমদানি শুরু করেছে। বর্তমানে কাতার গ্যাস এবং ওমান ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে দুটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির মাধ্যমে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। তবে বছরের বিভিন্ন সময় এলএনজির দাম কমে যায়।
এছাড়া বছরের কোনও সময়ে গ্যাসের চাহিদা কমে গেলেও দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি অনুযায়ী এলএনজি না নিলেও মূল্য পরিশোধ করতে হয়। এসব সমস্যার সমাধান করতে এলএনজি আমদানিকারক দেশগুলো প্রয়োজনের কম-বেশি ২৫ ভাগ এলএনজি স্পট মার্কেট থেকে কেনে। এ বিবেচনায় জ্বালানি বিভাগও দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির পাশাপাশি স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনার সিদ্ধান্ত নেয়।
এমইউএইচ/এমআরএম/এএইচ/জেআইএম