দুই কোম্পানির মুনাফায় ধস
চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড এবং সোনালী আঁশের মুনাফায় ধস নেমেছে। এক ধাক্কায় ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের মুনাফা আগের বছরের তুলনায় ৭৮ শতাংশ এবং সোনালী আঁশের মুনাফা ৬৮ শতাংশ কমে গেছে।
কোম্পানি দুটির পরিচালনা পর্ষদ সভা শেষে প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড
কোম্পানিটির প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ১৪ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬৫ পয়সা। সে হিসাবে আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি মুনাফা কমেছে ৫১ পয়সা।
তৃতীয় প্রান্তিকের মুনাফায় ধস নামায় নয় মাসের (২০১৯ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত) হিসাবেও কোম্পানিটির মুনাফা আগের বছরের তুলনায় কমেছে। ২০১৯ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ১ টাকা ৮ পয়সা। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৯০ পয়সা।
মুনাফায় ধস নামার পাশাপাশি কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য আগের বছরের তুলনায় কমেছে। চলতি বছরের মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ২৮ পয়সা, যা ২০১৯ সালের জুন শেষে ছিল ৩০ টাকা ২৬ পয়সা।
এদিকে অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো’র তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সময়ে শেয়ারপ্রতি অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৩৬ পয়সা, যা ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ে ছিল ১০ পয়সা।
সোনালী আঁশ
কোম্পানিটির প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ১৩ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪১ পয়সা। সে হিসাবে আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি মুনাফা কমেছে ২৮ পয়সা।
তৃতীয় প্রান্তিকের মুনাফায় ধস নামার পরও নয় মাসের (২০১৯ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত) হিসাবে কোম্পানিটির মুনাফা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। ২০১৯ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ১ টাকা ৩৬ পয়সা। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৮১ পয়সা।
তৃতীয় প্রান্তিকের মুনাফায় ধস নামলেও কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। চলতি বছরের মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২২৭ টাকা ২৭ পয়সা, যা ২০১৯ সালের জুন শেষে ছিল ২২৬ টাকা ৭১ পয়সা।
এদিকে অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো’র তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সময়ে শেয়ারপ্রতি অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ৩৪ পয়সা। ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ে শেয়ারপ্রতি অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ছিল ঋণাত্মক ৭ টাকা ২১ পয়সা।
এমএএস/বিএ/পিআর