ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

মনিটরিং কমিটির তদারকিতে বাড়ছে এসএমই ঋণ বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:৩৫ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০২০

# প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে ১৩১ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ

# ঋণ পেয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত ৭০২ জন শিল্পোদ্যোক্তা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাতের জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ হতে জেলা এসএমই ঋণ বিতরণ মনিটরিং কমিটির তদারকিতে এ পর্যন্ত ১৩১ কোটি ১৪ লাখ টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এ তথ্য জানিয়েছে।

বিসিকের ঋণ প্রশাসন বিভাগ থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিসিকের ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন জেলায় এসএমই ঋণ বিতরণ মনিটরিং কমিটির তদারকিতে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত সিএমএসএমই খাতের ৭০২ জন শিল্পোদ্যোক্তার মধ্যে ১৩১ কোটি ১৪ লাখ ৭ হাজার টাকা টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৮ জন নারী ও ৬৫৪ জন পুরুষ উদ্যোক্তা রয়েছেন।

উল্লেখ্য, বিসিকের সাচিবিক দায়িত্বে জেলা এসএমই ঋণ বিতরণ মনিটরিং কমিটি ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের তালিকা প্রণয়ন, প্রণীত তালিকা বিভিন্ন ব্যাংকে প্রেরণ এবং প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় সার্বিক ঋণ বিতরণ কার্যক্রম তদারকি করছে। করোনার প্রাদুর্ভাবে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে শিল্পখাতের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতে ঋণ বিতরণ কার্যক্রম সমন্বিত ও সুচারুরূপে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে, প্রতিটি জেলায় এসএমই ঋণ বিতরণ মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অনুমোদনক্রমে চলতি বছরের ১ জুন শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে এ কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটিতে জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক এবং বিসিকের জেলা পর্যায়ে অবস্থিত শিল্প সহায়ক কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-মহাব্যবস্থাপক/ব্যবস্থাপক/উপ-ব্যবস্থাপককে সদস্য সচিবের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া জেলা পর্যায়ের এ কমিটিতে প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ঋণ বিতরণের কাজে নিয়োজিত লিড ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংকের জেলা পর্যায়ের শীর্ষ কর্মকর্তা, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), এসএমই ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি, জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি বাংলাদেশের (নাসিব) জেলা সভাপতি, খাতভিত্তিক শিল্প সংগঠনের জেলা সভাপতি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), উইমেন চেম্বার/অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), জেলা প্রশাসক মনোনীত স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি (একজন) এবং জেলা প্রশাসক মনোনীত মাইক্রোফিন্যান্সিং প্রতিষ্ঠান/আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জেলা প্রতিনিধিকে (একজন) সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

গঠিত কমিটিকে জেলার অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র, কুটির এবং মাঝারি শিল্পের ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তারা যেন স্বচ্ছতার সাথে কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই ব্যাংক থেকে প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ঋণ নিতে পারেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ঋণগ্রহীতা নির্বাচন, ঋণ বিতরণ, তদারকি ও আদায় সংক্রান্ত কার্যক্রম নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং এ সংক্রান্ত উদ্ভূত যেকোনো সমস্যা স্থানীয়ভাবে সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।

পাশাপাশি এ কমিটি সব ক্যাটাগরির শিল্প উদ্যোক্তাকে সুষমভাবে ঋণ সুবিধার আওতায় আনার লক্ষ্যে এবং ঋণের ডুপ্লিকেশন পরিহারপূর্বক অপচয় হ্রাস করতে এমএসএমই খাতের অন্যান্য ঋণ বিতরণ কার্যক্রম তদারকি ও সমন্বয়ের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে।

জানা গেছে, মহামারি করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাতের উদ্যোক্তাদের টিকিয়ে রাখতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ২০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজের বিশেষ ঋণ সুবিধার ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু ঋণ বিতরণে খরচ বেশি, আয় কম, জামানতের অভাবসহ বিভিন্ন অজুহাতে ব্যাংকগুলো ঋণ দিতে অনীহা দেখাচ্ছে। এমন অবস্থায় ঋণ দ্রুত দেয়ার জন্য কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি সিএমএসএমই প্যাকেজের ঋণ বিতরণ সম্পন্ন করতে চলতি বছরের ৩১ আগস্টের পরিবর্তে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দিয়েছে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি।

এসআই/এমএসএইচ/এমকেএইচ