ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

শুরুতেই ‘হল্টেড’ এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স, বিক্রেতা উধাও

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:২২ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০২০

লেনদেনের প্রথম দিনেই শেয়ার দাম সর্বোচ্চ বেড়ে হল্টেড হয়েছে সাধারণ বীমা কোম্পানি এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স। দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করলেও যাদের কাছে কোম্পানিটির শেয়ার আছে তাদের কেউ বিক্রি করতে রাজি হচ্ছেন না। ফলে কোম্পানিটির শেয়ারের বিক্রেতা উধাও হয়ে গেছে।

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করা এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার আজ সোমবার থেকে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে। শুরুতে ১৩ টাকা ৬০ পয়সা দরে কোম্পানিটির ১০ হাজার শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে। তবে এই দামে কেউ বিক্রি করতে রাজি হননি।

এরপর ১৩ টাকা ৯০ পয়সা, ১৪ টাকা, ১৪ টাকা ১০ পয়সা, ১৪ টাকা ২০ পয়সা, ১৪ টাকা ৫০ পয়সা, ১৪ টাকা ৭০ পয়সা, ১৪ টাকা ৮০ পয়সা, ১৪ টাকা ৯০ পয়সা এভাবে বেড়ে সর্বশেষ ১৫ টাকা করে ৬ কোটি ৬৫ লাখ ৭৮ হাজার ৯০২টি শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে। এতেই দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে। তবে এরপরও কোনো বিনিয়োগকারী তাদের কাছে থাকা কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হননি। ফলে ক্রেতা থাকলেও শেয়ার বিক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী, শেয়ারবাজারে একটি কোম্পানি তালিকাভুক্ত হওয়ার পর লেনদেনের প্রথমদিন সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত দাম কমতে বা বাড়তে পারবে। সে কারণে আইপিওতে ১০ টাকা করে বিক্রি হওয়া এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দাম আজ সর্বোচ্চ ১৫ টাকা পর্যন্ত ওঠার সুযোগ ছিল। ফলে ১৫ টাকার ওপরে কোনো বিনিয়োগকারী শেয়ার কেনার প্রস্তাব দিতে পারেননি।

চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কোম্পানিটিকে আইপিওর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দেয়া হয়। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন নিয়ে কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে দুই কোটি ৬০ লাখ ৭৯ হাজার সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ২৬ কোটি ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করেছে। উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি ট্রেজারি বন্ড ও অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।

কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, আইআইডিএফসি ক্যাপিটাল এবং বিএলআই ক্যাপিটাল লিমিটেড।

আইপিও অনুমোদন দেয়ার সময় বিএসইসি জানায়, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সকে পাবলিক ইন্স্যু বিধিমালা ২০১৫ এর বিধি ৩(৩) (সি) পরিপালনের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলন করা মূলধনের ন্যূনতম ২০ শতাংশ অর্থ ‘নন-লাইফ বীমাকারীর সম্পদ বিনিয়োগ ও সংরক্ষণ প্রবিধানমালা ২০১৯’-এর বিধান পরিপালন সাপেক্ষে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার শর্ত আরোপ করা হয়েছে।

এমএএস/এসআর/পিআর