ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

বিকাশেও মিলছে অগ্রণী ব্যাংকের সেবা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:৩৬ পিএম, ২০ আগস্ট ২০২০

অগ্রণী ব্যাংকের প্রায় এক কোটি গ্রাহক এখন খুব সহজেই বিকাশের মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম করতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে অগ্রণী ব্যাংক ও বিকাশের মধ্যে এ ডিজিটাল লেনদেনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

বিকাশের কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান শামসুদ্দিন হায়দার ডালিমের সঞ্চালনায় অনলাইন অনুষ্ঠানে আরও সংযুক্ত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম, বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদির, চিফ কমার্সিয়াল অফিসার মিজানুর রশীদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, অগ্রণী ব্যাংকের গ্রহকরা নিজ অ্যাকাউন্ট থেকে বিকাশে কিংবা বিকাশ থেকে নিজের অ্যাকাউন্টে অর্থ লেনদেন করতে পারবেন। এমনকি জরুরি প্রয়োজনে কিংবা ব্যাংক বন্ধ থাকাকালীন সময়েও বিকাশের মাধ্যমে দ্রুত অর্থ লেনদেনও করা যাবে। ফলে বাঁচবে গ্রাহকের সময় এবং অর্থ।

বিশেষ করে যেসব গ্রাহকের আবাসস্থল শাখা থেকে দূরে তাদের জন্য অত্যন্ত কার্যকরি ব্যবস্থা এটি। গ্রাহককে কষ্ট করে শাখা পর্যন্ত আসার প্রয়োজন পড়বে না। অ্যাকাউন্ট থেকে বিকাশে নিয়ে নিকটবর্তী বিকাশ এজেন্ট থেকে সহজেই অর্থ উত্তোলন করা যাবে। এছাড়াও মাসিক সঞ্চয়ের টাকাও সহজেই বিকাশ থেকে অ্যাকাউন্টে জমা দিতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, অগ্রণী ব্যাংক এবং বিকাশের যৌথ উদ্যোগ দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিলো।

তিনি আরও বলেন, আজকে যে কার্যক্রম শুরু হলো আগামীতে এটি যেন হোঁচট না খায় সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে সতর্ক থাকতে হবে।

সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, বিকাশের মাধ্যমে অগ্রণী ব্যাংকের এক কোটি গ্রাহক ডিজিটাল লেনদেনের সুযোগ পাবে এটা সত্যি যুগান্তকারী উদ্যোগ। এভাবে ব্যাংকিং কার্যক্রমকে আরও ডিজিটাল করতে হবে। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে আরও উদ্যোগ গ্রহণের পরামর্শ দেন তিনি।

তিনি বলেন, তবে ডিজিটাল লেনদেনে যেন নিরাপত্তাটা নিশ্চিত হয় সে বিষয়েও কাজ করতে হবে। ডিজিটাল করতে গিয়ে যেন কোনোভাবেই গ্রাহকের আস্থা না হারায় সে বিষয়েও কঠোর নজরদারি করতে হবে।

এমইউএইচ/এএইচ/এমকেএইচ